জুয়াইরিয়া ফৌজিয়া: উত্তরা ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় তদন্ত দূরে থাক প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে খোঁজও নেয়নি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিক গবেষণা কেন্দ্র। উল্টো প্রশ্ন ফাঁসের খবর ভিত্তিহীন এই বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব ছাড়ছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ঘটনা তদন্তের পরামর্শ দিয়েছে উত্তরা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ব্যাংকের কেউ এই কাজের সাথে জড়িত থাকলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সূত্র: যমুনা টিভি
প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে উত্তরা ব্যাংক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা ও ব্যাংকের সাবেক সিভি আই নেতা আউসানুল হাবিব এবং তার সহযোগীরা মিলে প্রশ্ন ফাঁস করেছে।
এ বিষয়ে উত্তরা ব্যাংক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবিউল হোসেন বলেন, আমরা চাইলেই যেকোনোভাবে পরীক্ষা গ্রহণ করতে পারি না। কারণ এটি আমাদের বোর্ড পার্মিট করে না। সুতরাং আমরা তাদের সাথে বসে যে পরীক্ষা গ্রহণযোগ্য হবে সেভাবেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু তার আগে তাদের প্রুফ করতে হবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। এসময় তিনি ব্যাংকের কেউ প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত থাকলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানান।
এ দিকে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা কেন আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত করা হচ্ছে না বা তদন্ত করতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতাও নেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি অর্থনৈতিক ব্যুরোর প্রতিনিধিরা। তবে পরিচালক ড. শফিকুরজ্জানের দাবি এটি প্রশ্নপত্র ফাঁস নয়, উত্তরপত্র জালিয়াতি হতে পারে।
প্রসঙ্গত গত ২৪ নভেম্বর উত্তরা ব্যাংকের প্রবেশনারি অফিসার নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিকাল ৩টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত চলে এই পরীক্ষা। ওইদিন দুপুর ২ টায় ৪২ মিনিটে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার একটি হাতে লেখা উত্তরপত্র পাওয়া যায়। এরপর শুরু হয় যাচাই-বাছাই। এরপর পরীক্ষা শুরুর পরপরই দুপুর ৩টা ২ মিনিটের দিকে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের খবর প্রকাশিত হতে থাকে। এরপর ৩টি পরীক্ষা কেন্দ্রে যেয়ে প্রশ্নের সাথে মিলিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর হাতে লেখা উত্তর পত্রের প্রমাণসহ খবর প্রচার হয় সংবাদে।
আপনার মতামত লিখুন :