সান্দ্রা নন্দিনী : মিয়ানমার সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সেনাবাহিনীর এক জেনারেলকে অভিযুক্ত করে তার ওপর দেওয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণই ভিত্তিহীন। আর যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে মিয়ানমার যারপরনাই ব্যথিত।
মিয়ানমার সরকারপ্রধান অং সান সু চি’র মুখপাত্র জ্যা হত্যে গত মঙ্গলবার বলেন, মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বারবার ব্যাখ্যা দেওয়ার পরও কোনরকম তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের ওপর ভর করে যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আর বিষয়টি মিয়ানমারের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ডিসেম্বর মিয়ানমারের মেজর জেনারেল মোং মোং সো’কে রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর অভিযান চালানোর সময় অত্যাচার-নির্যাতন ও গণহত্যার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ এই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল’ হিসেবেও আখ্যা দেয়। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী এই অভিযানের পর অন্তত সাড়ে ৬ লক্ষ রোহিঙ্গা সীমান্ত পার হয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, মিয়ানমারের মেজর জেনারেল মোং মোং সো’র বিরুদ্ধে রাখাইনে যৌন নির্যাতন, বিচার-বহির্ভূত হত্যাকা-, গণগ্রেফতার, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়াসহ সকল অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
অপরদিকে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও অং সান সু চি বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। মেজর জেনারেল মোং মোং সো’র পক্ষ থেকে একে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ‘মনগড়া গল্পকথা’ বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, যদি সত্যিই এমনকিছু ঘটত তবে অবশ্যই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হত। রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :