শিরোনাম
◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা

প্রকাশিত : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৪:১৯ সকাল
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৪:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে হাইকোর্টের রায়

ডেস্ক রিপোর্ট : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজের অনার্স ও মাস্টার্স শ্রেণির শিক্ষকদের জনবল কাঠামোয়ে অন্তর্ভুক্ত করে এমপিওভুক্ত করতে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন। বিচারপতি আসফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি কে. এম কামরুল কাদের এর বেঞ্চে দীর্ঘ শুনানি শেষে এই রায় প্রদান করা হয়।

৬৩২ জন আবেদকারী কর্তৃক ২টি রিট পিটিশন (নং ১১৭৯৭/২০১৬ ও ১২১৬/২০১৭) দায়ের করা হয়। ইতিপূর্বে ০৭/০৯/২০১৬ ইং তারিখে জাতীয়বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজের অনার্স ও মাস্টার্স শ্রেণিতে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কেন জনবল কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করে এমপিভুক্ত করা হবেনা মর্মে সরকারের প্রতি রুলস জারি করা হয়। পরবর্তীতে নভেম্বর ১৬, ২০১৭ ইং তারিখে চূড়ান্ত শুনানি হয়। শুনানিতে বাদি পক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবী এ্যাড. ইউসুফ হোসাইন হুমায়ুন, এ্যাড. জাকির হোসেন সর্দার ও এ্যাড. শেখ আজমল হায়াত এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আল-আমিন সরকার, কে.এম মাসুদ রুমি, মোঃ নাসিম ইসলাম ও মোঃ আশিক মোমিন উপস্থিত ছিলেন।

শুনানি শেষে বাদি পক্ষের দাবির যোক্তিকতা বিচার করে বিজ্ঞ আদালত আগামি এক মাসের মধ্যে আবেদনকারীদের জনবল কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করে এমপিওভুক্ত করতে সরকারের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন।

রায়ে আরো বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের অনুমোদনক্রমে সমগ্রদেশে উচ্চশিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে ১৯৯৩ সাল থেকে বেসরকারি কলেজগুলোতে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু করে, বর্তমানে প্রায় ৪৯৪ টি বেসরকারি কলেজে ৩.৫ লাখ শিক্ষার্থীদের পাঠদানে নিয়োজিত প্রায় ৫৫০০ শিক্ষক এমপিও সুযোগ থেকে বঞ্চিত। এই সব শিক্ষকদের এমপিও এর আওতায় আনতে ৩০/০৪/২০০৯ ইং তারিখে ৯ম জাতীয় সংসদের শিক্ষামন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সুপারিশ ও ১৪/১০/২০১৫ ইং তারিখে ডিজি (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের) এর পক্ষ থেকে একটি আর্থিক সংশ্লেষ দাখিল করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে পিটিশনাররা মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে আবেদন দায়ের করেন। উক্ত শুনানিতে বাদিপক্ষের দাবি ও যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারপক্ষ পাল্টা যুক্তি বা কোন অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি। বিজ্ঞ আদালত পিটিশনারদের দাবির স্বপক্ষে রায় প্রদান করেন।

ইতিপূর্বে, ৩২২ জন আবেদনকারী কর্তৃক দায়ের করা রিট পিটিশনের (নং ১১৪৮৪-২০১৭) মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক গত ২৪/০৮/২০১৭ ইং তারিখে ডিরেকশন জারি হয়। উক্ত ডিরেকশনে মহামান্য হাই কোর্ট বাদিপক্ষের ন্যায্য দাবি ও যুক্তি বিবেচনা করে সচিব, শিক্ষামন্ত্রণালয় বরাবার এক মাসের মধ্যে উপরোক্ত দাবি বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট জাকির হোসেন।

অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী কামরুজ্জামান বলেন, বেসরকারি এমপিওভুক্ত কলেজের অনার্স ও মাস্টার্স শ্রেণিতে সরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত এইসব শিক্ষককে ১৯৯৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত জনবল কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত না করে এমপিওভুক্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এইসব শিক্ষকরা বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। রিট কমিটির সমন্বয়ক মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, শিক্ষদের বেতন ভাতা কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে ছেড়ে দেয়ার ফলে কর্তৃপক্ষ বেতন ভাতা না দিয়ে শিক্ষকদের বঞ্চিত করছে।

একই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে, যেখানে ইন্টারমিডিয়েট ও ডিগ্রির শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে পারেন অন্যদিকে মাদ্রাসা পর্যায়ে-আলেম, ফাজেল ও কামেল শ্রেণির শিক্ষকরাও এমপিওভুক্ত হতে পারেন, তাহলে অনার্স ও মাস্টার্স শ্রেণির শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত না করে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত রাখা ন্যায় সংগত হতে পারেনা। মহামান্য হাইকোর্টের রায়ে আমরা আনন্দিত যে, দীর্ঘদিন পরে হলেও আমরা আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়