শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরে ছয় নারীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হোসেন হাওলাদার দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার বিকেল ৫টায় শরীয়তপুর অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মুজাহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি দেন আরিফ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গোসাইরহাট উপজেলার সাইক্কা ব্রিজ এলাকা থেকে আরিফকে আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ১০টায় শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন সংবাদ সম্মেলন করে আরিফকে গ্রেপ্তার করার কথা জানান।
দুপুরে আরিফকে আদালতে হাজির করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
আদালতে স্বীরোক্তিমূলক জবানবন্দির বিষয়ে নিশ্চিত করে ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পরই আরিফ আমাদের কাছে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেন। পরে তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে বিষয়টি জানানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেন। সেই অনুযায়ী বিকেলে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি।’
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আরিফ হোসেন হাওলাদার। তাঁর বাড়ি ফেরাঙ্গিকান্দি গ্রামে। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্র। ফাঁদে ফেলে ছয় নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। গত ১৫ অক্টেবর ছয় নারীকে ধর্ষণের দৃশ্যর ভিডিও ও ছবি মানুষের হাতে ছড়িয়ে পরে। ১৭ অক্টোবর থেকে স্থানীয় বিভিন্ন মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। অভিযোগ পেয়ে ১৯ অক্টোবর ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ আরিফকে বহিষ্কার করে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় ১১ নভেম্বর জেলা ছাত্রলীগ আরিফকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ভুক্তভোগী এক নারী তাঁর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ভেদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :