ফারমিনা তাসলিম: জাতির দুর্দিনে মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিএমএ‘র দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশমাতৃকার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রাক্ষায় সদাপ্রস্তুত থাকাতে হবে।সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে হলেও দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষা করাই হবে তোমাদের জীবনে প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য।
সেনাবাহিনীর ৭৫তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষ্যে আজ (বুধবার/২৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ)’র রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে দিয়ে আমাদের সেনাবাহিনীর জন্ম। স্বাধীন দেশের উপযোগী একটি শক্তিশালী প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী গড়ে তোলার জন্য জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেন। সেনানিবাসের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি একটি বিশ্বমানের মিলিটারি একাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতার সে দূর দৃষ্টিসম্পন্ন ১৯৭৪ সালে পরিণত প্রতিরক্ষা নীতির অনুসরণে আমরা ফোর্সেস গোল- ২০৩০ প্রণয়ন করেছি। বিগত আমরা ৯ বছরে সেনাবাহিনীর অবকাঠামোগত পরিবর্তনের পাশাপাশি বাহিনীর সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছি।
এসময় মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারে আসা রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আপনার মতামত লিখুন :