জাহিদ হাসান: বাংলাদেশের যে মেয়েরা সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নের শিরোপা জিতে এনেছে, তাদের কতজন আসলে ফুটবলকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারবে? অনূর্ধ্ব ১৫ দলের মেয়েদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনেকের পরিবারই এখনো চায় না মেয়েরা ফুটবলকেই পেশা হিসেবে বেছে নিক। বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতিও এখনো এর অনুকুলে নয় বলে মনে করে তারা।
কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন আশাবাদী। কিভাবে মেয়েদের ফুটবলে পেশাদারিত্ব নিয়ে আসা যায় সে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখন আমরা এই মেয়েগুলোকে যে বেতন দেই, এটা ইউরোপের মান অনুযায়ী না হলেও যে আর্থ সামাজিক অবস্থা থেকে তারা উঠে এসেছে তাতে এটা তাদের পরিবারের জন্য যথেষ্ট।
আমরা যেটা চেষ্টা করছি সরকার ও অন্যান্য করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে, যাতে ওদেরকে একটি নির্দিষ্ট বেতন কাঠামোতে আনা যায়, যাতে করে তাদের পেশাদার হতে সাহায্য করা যায়।
কাজী সালাউদ্দীন আশাবাদী যে খুব শীঘ্রই এক্ষেত্রে অগ্রগতি হবে। সম্প্রতি সাফ অনূর্ধ্ব ১৫ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। ১-০ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ।
এর আগে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন্সের নারী অনূর্ধ্ব ১৪ আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায়ও চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে বাংলাদেশে যেখানে মেয়েদের ফুটবলে কোনো নিয়মিত লীগ আয়োজন করা হয় না, সেখানে মেয়েদের ফুটবলে পেশাদারিত্ব কতটা আসবে তা নিয়ে অনেকে সন্দিহান।
তবে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুনরায় নারী ফুটবল লীগ চালু করার কথা বলেন কাজী সালাউদ্দিন। ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা নারী ফুটবল লীগ আয়োজন বাধ্যতামূলক করলেও, ২০১৩ সালের পর বাংলাদেশে নারী ফুটবল লীগ আয়োজন করা হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :