হিরন্ময় ভট্টচার্য, গুয়াহাটি : টানা দশদিনের উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে বিজেপি নেতা তথা তিনসুকিয়া জেলার জাগুনের পতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী দিলীপ ফুকনের ছেলে অরুণাভ ফুকনকে মুক্তি দিয়েছে উলফা (স্বাধীন)।
সোমবার বিকেলে অরুণাচল প্রদেশের ভারত-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী চাংলাং জেলার টেংমান বস্তিতে তাঁকে ছেড়ে গেছে উলফা। খবর পেয়ে সেখান থেকে অরুণাচল প্রদেশ পুলিশ অরুণাভকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় জয়রামপুর থানায়। খবর দেওয়া হয় তাঁর বাবা-মাকে। থানায় তাঁকে উলফা (স্বাধীন) সম্পর্কে নানা জিজ্ঞাসা করে পুলিশ। পরে মা-বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয় অরুণাভকে।
পুলিশ ও সাংবাদিকদের অরুণাভ জানিয়েছেন, উদয় আসাম নামের উলফা স্বাধীনের এক নেতার নেতৃত্বে চার জনের সশস্ত্র এক দল ১৫ ডিসেম্বর জাগুনের খা-বস্তি থেকে অপহরণ করে এক রাত দু-দিন পায়ে হেঁটে উলফার সদর ক্যাম্পে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে নানা প্রশ্নের জবাব তাঁকে দিতে হয়েছে।
এদিকে, অরুণাভকে মুক্তি দিয়ে উলফা (স্বাধীন)-প্রধান পরেশ বড়ুয়া টেলিফোনে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর বাবা দিলীপ ফুকন এবং তিনি নিজে সেনা-পুলিশের জন্য উলফা-বিরোধী গুপ্তচরগিরি করছিলেন বলে অরুণাভকে অপহরণ করা হয়েছিল। তাঁকে তুলে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে সে রকম কোনও নির্দিষ্ট তথ্য তাঁর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। তাই তাঁকে নির্দোষ সাব্যস্ত করে সুস্থ শরীরে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অরুণাভ ফুকনের উপর থেকে যাবতীয় অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অরুণাভ কেবল নির্দোষই নয় মাই ডিয়ার। তাঁকে মুক্তির বিনিময়ে কোনও টাকা-পয়সার লেনদেন হয়নি বলে জানান পরেশ বড়ুয়া।
উল্লেখ্য, অরুণাভ ফুকনের মুক্তির বিনিময়ে উলফা স্বাধীন দুই কোটি টাকা দাবি করেছিল বলে এক খবর চাউর হয়েছিল। এই অভিযোগ তুলেছিলেন অপহৃতের বাবা খোদ দিলীপ ফুকন। এর পর তাঁকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সেনা ও অরুণাচল প্রদেশের পুলিশের সাহায্য নিয়েছিল আসাম।
পরবর্তীতে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের এডিজিপি পল্লব ভট্টাচার্য বলেছিলেন, উলফা স্বাধীন প্রচণ্ড অর্থ সংকটে ভুগছে। টাকার জন্য তারা এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাছাড়া বলেছিলেন, খুব শীঘ্রই অরুণাভকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে উলফা।
আপনার মতামত লিখুন :