সুজন কৈরী : রাজধানীর শেরেবাংলা নগর ও মহাখালী থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. নাসির হোসেন (২২), মো. রাসেল (২২), মো. হানিফ (২০) ও মো. শাহাব উদ্দিন। গতকাল পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব-২।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত সোমবার সন্ধ্যায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, তারা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের নিজেদের একটি নাম্বারে বিকাশ করার সময় কৌশলে এসভিআর (সিক্রেট ভিডিও রেকর্ডার) ব্যবহার করে বিকাশ রেজিষ্টারের ছবি তুলে নেয়। পরে সংগৃহীত ওই ছবি তারা গ্রুপ লীডারের কাছে পাঠিয়ে দেয় এবং রেজিস্টারে থাকা গ্রাহকদের মধ্যে কয়েকজনকে টার্গেট করে।
চক্রটি ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহারের মধ্যেমে লেনদেনকৃত টাকার চেয়ে বেশি টাকার এসএমএস তৈরী করে টার্গেটকৃত ব্যক্তির মোবাইলে পাঠায়। যেন ওই মেসেজের প্রেরক হিসাবে বিকাশ লেখা দেখা যায়। পরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে যে স্থান থেকে বিকাশ করা হয়েছে, প্রতারক চক্র তাকে ওই স্থান উল্লেখ করে জানায় যে, ‘আপনার মোবাইলে টাকাটি ভুলবশত দুইবার পাঠানো হয়েছে’। ভুক্তভোগী বিকাশের অরিজিনাল মেসেজ হিসাবে তা বিশ্বাস করে প্রতারকদের আহ্বানে সাড়া দেয়। টাকা পাঠানোর পর বিষয়টি প্রতারণা বুঝতে পেরে ভুক্তভোগী ব্যক্তি প্রতারক চক্রের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের কলার টোন হিসেবে ‘এই মুহুর্তে আপনার কাংখিত মোবাইল নম্বরে সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না’ শুনে টাকা ফেরত পাবার আশা ছেড়ে দেয়। এভাবে চক্রটি প্রতারণার মাধ্যমে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এভাবে প্রতিমাসে গড়ে এক লাখেরেও বেশি টাকা প্রতারণা করে সংগ্রহ করে আসছে চক্রটি।
তারা আরো জানিয়েছে, ফেসুবক ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে পুরাতন মালামাল বিক্রির জন্য আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাকে আকর্ষণ করার পর পণ্যের ২০ শতাংশ টাকা অগ্রিম বিকাশের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য বলে। ক্রেতা রাজি হয়ে অগ্রিম অর্থ পাঠানোর পর তারা সিমটি পরিবর্তন করে ফেলে।
আপনার মতামত লিখুন :