শিরোনাম
◈ পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ ◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির ◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১০:১৩ দুপুর
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১০:১৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চোখে যক্ষা, দুই বছর ধরে হাসপাতালে আসহায় শিশু (ভিডিও)

ফারমিনা তাসলিম: নায়িব করীব। বয়স এগারো বছর। ঝুলে আছে নিয়তির সাথে। দুই বছর ধরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছে, নায়িবের চোখে যক্ষা ধরা পড়েছে। আর চোখ থেকে এখন মস্তিষ্কে সংক্রমিত হয়েছে। এ রোগ নিরাময় অনেক জটিল এবং ব্যয়বহুল। একমাত্র সন্তানের এ পরিস্থিতিতে দেখে দিশেহারা তার পিতা-মাতা।

কখনো চোখের পাতা নড়ছে। আবার কখনো এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকছে মায়ের দিকে। সে চোখ স্বাভাবিক নয়, যক্ষা আক্রান্ত এক অসহায় শিশুর চোখ।  এ চোখের কারণে হাসপাতালের আইসিইউতে হয়েছে তার ঘর, বাড়ি।

নায়িবের মা বলেন, করীবকে আইসিইউতে অবজারভেশনের জন্য একদিনের জন্য রাখে। ওই যে আইসিইউতে নিয়ে গেল ৪ ঘন্টা পর কান্নাকাটি করে আইসিইউতে ঢুকে দেখলাম আমার ছেলে ঘুমিয়ে আছে, ঘুম ভাঙে না। ডাক্তাররা বলে, ঘুম ভাঙলে আপনাকে ডাকব। দুই বছল হয়ে গেলো আমার ছেলের আজও ঘুম ভাঙল না!

৯ বছর বয়সে হঠাৎ এ তীব্র ব্যাথা বোধ করে নায়িব। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাকে বাম চোখে যক্ষার জীবাণু ধরা পড়ে। তখন থেকে তার শরীর খারাপ হতে থাকে। চোখের পাশাপাশি এখন মাথার যন্ত্রণাও নায়েবের। শরীরের অন্য অঙ্গ কাজ করলেও তার মস্তিষ্ক কাজ করছে না। আর তাই দুবছর ধরে আছে আইসিইউতে।

নায়িবের চিকিৎসক বলেন, তার অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে কিন্তু সঠিক রোগটি ধরা পড়েনি। তার ব্রেনে কী কারণে অসচেতন সেটা এখনো ধরা পড়েনি।

বাংলাদেশে নায়িবের চিকিৎসা নেই বলে তাকে নেওয়া যাওয়া হয়েছে ভারতে। সেখানকার চিকিৎসক জানিয়েছে, তার ব্রেনের একটা অংশ কাজ করছে না।

চিকিৎসকরা বলছে, নায়িবকে সুস্থ হতে দিতে হবে ৪টি ইঞ্জেকশন। যার প্রতিটির দাম প্রায় আট লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ২ কোটি টাকা খরচ করেছে নিঃস্ব পরিবার। বাকি চিকিৎসার টাকা কোথায় থেকে আসবে তা জানে না কেউ।

সূত্র - একাত্তর টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়