শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:৫২ সকাল
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অনলাইনে পেনশন প্রদানে স্বতন্ত্র কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ

জিব খান: সরকারি চাকরিজীবীরা চাকরি শেষে তাদের প্রাপ্য বিভিন্ন পাওনা টাকা তুলতে গিয়ে নানা ধরনের হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বছরের পর বছর  ‍ঘুড়েও ঘুষ ছাড়া পাওনা টাকা আদায় করতে পারছেন না। তাই এখন থেকে অনলাইনে পেনশন ও ভবিষ্যৎ তহবিল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য ‘কেন্দ্রীয় পেনশন ও ফান্ড ম্যানেজমেন্ট অফিস’ নামে একটি স্বতন্ত্র কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ‘কেন্দ্রীয় পেনশন ও ফান্ড ম্যানেজমেন্ট অফিস’ সিজিএর আওতায় কাজ করবে।অফিসটি প্রতিষ্ঠার জন্য হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে অস্থায়ীভাবে লোকবল নিয়োগের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে ইতোমধ্যে একটি সার-সংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রতি মাসের ১ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিস অথবা রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় গিয়ে পেনশনের অর্থ উত্তোলন করা প্রবীণ পেনশনারদের জন্য কষ্টকর। অন্যদিকে, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিলের হিসাব সংরক্ষণ করে উক্ত তহবিলের ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ অবস্থায় পেনশনারদের অর্থ তাদের নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে অনলাইনে স্থানান্তর করা অবশ্যক।

সার-সংক্ষেপে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের পেনশন খাতের বরাদ্দ অর্থ বিভাগে স্থানান্তরপূর্বক প্রদর্শন করা হয়েছে। এ বাস্তবতায় সিজিএর বর্তমান সাংগঠনিক কাঠামোতে যথাযথ সেবা প্রদান দুরূহ হবে। সে কারণে প্রশাসনিকভাবে সিজিএ অফিসের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি পৃথক কেন্দ্রীয় পেনশন ও ফান্ড ম্যানেজমেন্ট অফিসের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

দেশে বর্তমানে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ বেসামরিক পেনশনভোগী রয়েছেন। এই পেনশনারদের মাসিক পেনশন ও অন্যান্য অবসরকালীন সুবিধা বর্তমানে বিভিন্ন হিসাবরক্ষণ অফিস, ব্যাংক এবং পোস্ট অফিস কর্তৃক পরিশোধ করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে পেনশনারদের। উৎকোচ ছাড়া মিলছে না পেনশনের টাকা। যুগ যুগ ধরে এ ব্যবস্থা চললেও কোনো সময় এ হয়রানি বন্ধের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তবে এই প্রথম হয়রানিমুক্ত পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হলো।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়