রবিউল আলম : যতটুকু শিক্ষা অর্জন করেছি তা থেকে এতটুকু বুঝেছি, রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। জনগণের প্রতিনিধির রাজনৈতিক অঙ্গিকার, দলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন ভোটের জন্য। যে দলের নির্বাচনী ইশতেহার জনগণের নিকট সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য হয়, সেই দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যায়। দেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হলে জনগণ গ্রহণ করে না। ড. এমাজউদ্দিন স্যারের কাছে প্রশ্ন, নির্বাচনে গ্রহণযোগ্যতার অঙ্গিকার বিদেশিদের কাছে করতে হবে কেন? দেশের জনগণের কাছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে, সরকারের গ্রহণযোগ্যতা না থাকলে, বিদেশিদের রায় ও স্বীকৃতি নিয়ে কি ক্ষমতায় যাওয়া যায়? ১৯৯৬ সালে বিএনপিকে কি কোনো বিদেশিরা রক্ষা করতে পেরেছিল? না কি ১৯৭১-এ পাকিস্তানিদের রক্ষা হয়েছে? বৃটিশরা কি এমনি এমনি ভারত বর্ষকে স্বাধীনতা দিয়ে চলে গেছে? সারা বিশ্ব জানে, জনগণ চাইলে সব হবে। রাজনীতি জনগণের জন্য, রাজনীতি রাষ্ট্রের জন্য, তবে অঙ্গিকার কেন বিদেশিদের সাথে করতে হবে?
স্যার, আমরা কি ভুল শিক্ষা গ্রহণ করলাম, জনগণের রাষ্ট্রের মালিক, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অনুমতি নিয়ে সরকার গঠন করতে হবে? বিদেশিদের অনুমতি নিয়ে দেশ চালাতে হয়, একথা কখনো শুনিনি। জনগণ দেশের সার্বভৌমত্বের মালিক, জনগণের ভোটে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার স্বাদ নিতে হয়, তাই জনপ্রতিনিধিরা ৫ বছর পরে হলেও জনগণের কাছে হাজির হয়। জনগণের ভোটের আশায় বেগম খালেদা জিয়া নিরপেক্ষ সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সহায়ক সরকার কত রকমের দাবি নিয়ে কত আগুন জ্বালিয়েছেন, কত অবরোধ করেছেন। তবে কি এ সকল লোক দেখানো। বিদেশিদের কাছে অঙ্গিকার করলে, বিদেশিরা সহায়তা করলে, বিদেশি অর্থে ক্ষমতায় আসা যায়- এতকিছু আপনি জানেন, তবে দেশের ক্ষতি না করে বেগম খালেদা জিয়াকে এই উপদেশ দিয়ে অবরোধ, হরতাল, পেট্রোল বোমা থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে পারতেন। আপনি শিক্ষক মানুষ, এটা আমাদের গর্ব। জনগণ রাষ্ট্রের মালিক, তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তার উপর আপনার একটি লেখা অথবা সাক্ষাৎকার অবশ্যই আশা করতে পারি এবং আশা রাখি।
লেখক : ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :