ফারমিনা তাসলিম: আজ (মঙ্গলবার/২৬ ডিসেম্বর) প্রতিবারের আয়োজনের চেয়ে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে শুরু হচ্ছে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সংগীত উৎসব- ২০১৭। আয়োজকরা বলছেন, অন্যান্যবারের চেয়ে এবারে আলাদা আকষর্ণ থাকবে ওয়েস্টাইন ক্লাসিক্যাল মিউজিকের সংযোজন। যেটি এর আগে আর কোনবারই করা হয়নি।
এবারের আয়োজন সম্পর্কে বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ৬ষ্ট বারের মতো এ আয়োজন করা হচ্ছে। এবার একটা নতুন মাত্রা যোগ করা হয়েছে উপমহাদেশের উচ্চাঙ্গ সংগীতের সাথে পশ্চিমা উচ্চাঙ্গ সংগীতের সংযোজন। ফলে অনুষ্ঠানের পরিধি বড় হবে বলে আশা করছি। সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং কাজাকিস্তান থেকে বড় একটা টিমও এসেছে। আমরা চেয়েছিলাম ৬ষ্ঠ আসরে একটা উপাদান যোগ করতে- সেটা হবে আমার বিশ্বাস।
স্থান পরিবর্তনের ফলে নিরাপত্তার বিষয়টি মানুষজন বেশি আলোচনা করছে। এক্ষেত্রে আপনাদের কী কী বিষয় বিবেচনায় রয়েছে?
জবাবে লুভা নাহিদ বলেন, আবাসিকের ক্ষেত্রে প্রাইভেসি এবং শব্দ সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এ দুটি বিষয়ে আমরা খেয়াল রেখেছি। চারদিকে ঘেরা বেষ্টনি দেয়া হয়েছে। যারা আশেপাশে বসবাস করেন তাদের যেন অসুবিধা না হয় সে জন্য শব্দ সংক্রমণের জন্য বিশেষ একটা প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। শব্দ সংক্রমণটা শুধু মাঠের ভেতরে থাকবে- এর বাইরে যাবে না। বিশেষ একজন ইঞ্জিনিয়ারের সাহায্য সফটওয়্যারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সব মহলই এখন সন্তুষ্ট, এখন আশা করি আশেপাশে যারা আছেন তাদের কষ্ট হবে না।
ছয় বছরের এ আয়োজনে সাধারণ মানুষের মধ্যে কী প্রভাব পড়েছে?
লুভা নাহিদ বলেন, বাঙালী সঙ্গীতপ্রিয় জাতি। শিল্পীরা যারা আসেন তারা বাঙালীদের সঙ্গীতের প্রতি উৎসাহ দেখে অনুপ্রাণিত হন। সঙ্গীতের সঙ্গে বড় হওয়ার একটা সংস্কৃতি আমাদের এখানে আছে। সে জায়গাটা থেকে অনুধাবন করতে দর্শকদের খুব একটা কষ্ট হয়নি।
সূত্র - বিবিসি বাংলা
আপনার মতামত লিখুন :