শিরোনাম
◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:৫৮ সকাল
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:৫৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে কারনে ব্যাচেলরই স্বস্তি বাড়িওয়ালাদের !

রবিন আকরাম : বাসা ভাড়া হবে চাচা ? না বাবা ব্যাচেলর ভাড়া দেইনা। এই কথাটা অনেক ব্যাচেলরই শুনে থাকেন। বাড়ি ভাড়া না দিলেও ব্যাচেলরের কাছে মেয়ে বিয়ে দিতে আপত্তি নেই বাড়িওয়ালাদের। অথচ বিভিন্ন কারণে প্রত্যেক বাড়িওয়ালার উচিত নিজে থেকেই ব্যাচেলরদের বাড়ি ভাড়া দেওয়া। কারণ হলো:-

১. সকালের নাশতা তো দূরের কথা, ব্যাচেলররা সকালই দেখে না। বেশির ভাগ দিনে রান্না হয় এক বেলা। দুই বেলা রান্না হলেও সর্বোচ্চ দুই-তিন পদ রান্না হয়। ফলে প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাসের অপচয় হয় কম। অন্যদিকে ফ্যামিলি ভাড়া দিলে দিনে তিন বেলা রান্না ছাড়াও অবসরে শখের রান্নাবান্না তো চলেই।

২. সকাল হলেই গোসল করতে হবে, ব্যাচেলরদের ক্ষেত্রে এই বাধ্যবাধকতা নেই। তাদের অনেকের কাছেই প্রতিদিন গোসল করা যা, তিন দিনে একবার গোসল করাও একই কথা। ফলে পানির অপচয় হবে না। আপনাকেও কষ্ট করে দিনে তিন বেলা পানির মোটর ছাড়ার ঝামেলায় যেতে হবে না।

৩. গেটে দারোয়ান বা নৈশপ্রহরীরা মাঝেমধ্যেই কাজে ফাঁকি দিয়ে ঘুমায়। ফলে চুরি, ডাকাতির ঝুঁকি থেকেই যায়। এদিক থেকে বাড়িতে ব্যাচেলর রাখলে আপনারই লাভ। যেহেতু ব্যাচেলররা প্রায়ই দেরি করে ফেরে, ফলে চাইলেও দারোয়ান বা নৈশপ্রহরীর কাজে ফাঁকি দেওয়ার উপায় নেই। তা ছাড়া ব্যাচেলররা রাত জেগে ফেসবুকিং বা ফোনে ব্যস্ত থাকে, ফলে বাসায় চোর-ডাকাত এলে তারা টের পাবেই।

৪. বিপদ বলেকয়ে আসে না। গভীর রাতে কোনো কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে কাঁচা ঘুম ফেলে আশপাশের কেউ এগিয়ে আসবে কি না, এটা নিয়ে সন্দেহ থাকেই। তবে বাসায় যদি ব্যাচেলর রাখেন তাহলে আর এই সমস্যা নেই। ব্যাচেলরদের কাছে দিনও যে কথা, গভীর রাতও একই কথা।

৫. হইচই পছন্দ করেন না বলে নিজের টাকায় বাড়ি বানিয়ে নাম দিয়েছেন ‘নিরিবিলি’। অথচ প্রায়ই ভাড়াটিয়াদের কারও না কারও বাসায় আত্মীয়স্বজন আসে। ছুটির দিন অতিথি সমাগম হয় আরও বেশি। হইচই-হাঙ্গামাও হয় অনেক বেশি। অন্যদিকে ছুটির দিন মানে ব্যাচেলরদের সাপ্তাহিক ঘুমের দিন। আত্মীয়স্বজনের তো কোনো বালাই-ই নেই।

৬. স্বামী-স্ত্রী যেখানে, ঝগড়াঝাঁটি সেখানে। ফলে বাড়িওয়ালা হিসেবে প্রায়ই আপনাকে ভাড়াটিয়ার ঝগড়ার সাক্ষী হতে হয়। মাঝেমধ্যে আপনার কাছে বিচার আসাও বিচিত্র নয়। এদিকে প্রতিটি ব্যাচেলর ভাই ভাই বলে নিজেদের মধ্যে কখনো ঝগড়াঝাঁটি লাগে না। আর লাগলেও আপনি সেটা টের পাবেন না, এটা নিশ্চিত।

৭. মহল্লার রাস্তাঘাটে দেখা হলে অন্য কেউ আপনাকে সালাম না দিলেও ব্যাচেলররা আঙ্কেল সম্বোধন করে, আশপাশের সবাইকে শুনিয়ে বেশ লম্বা একটা সালাম দেয়। যখন-তখন লম্বা সালাম পেলে এলাকায় অটোমেটিক আপনার একটা ‘ইজ্জত’ দাঁড়িয়ে যাবে।

৮. ব্যাচেলররা মাসের শুরুতেই বাড়ি ভাড়া দিতে পারে না। এতে কিন্তু আপনারই লাভ। মাসের শুরুতে ভাড়ার টাকা খরচ হয়ে গেলেও চিন্তা নেই। মাসের শেষ কদিনের জন্য ব্যাচেলরদের ভাড়াটা তো আছেই।

৯. সর্বশেষ কারণ, পৃথিবীতে কেউ স্ত্রী নিয়ে জন্মায় না। একদিন আপনিও ব্যাচেলর ছিলেন। ব্যাচেলর ছিলেন আপনার বাবা, তার বাবা, তার বাবা...। কাজেই ব্যাচেলররা হিংস্র কোনো প্রাণী নয়, আপনার পূর্বপুরুষদের মতোই স্বাভাবিক মানুষ। তাদের বাড়ি ভাড়া না দিয়ে পূর্বপুরুষদের অসম্মান করবেন না। সূত্র: প্রথম আলো

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়