শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:৪২ সকাল
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:৪২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিবন্ধন চায় পাঁচ নতুন দল

ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের সুযোগ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এজন্য আগ্রহী দলের কাছ থেকে আবেদন চেয়ে ইতিমধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। আবেদন করার সময় শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর। নিবন্ধনের আবেদনের সময় এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও এখন পর্যন্ত পাঁচটি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।

রোববার ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা দলগুলো হলো-বাংলাদেশ ইসলামিক গাজী; বাংলাদেশ জনতা পার্টি; জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি; বাংলাদেশ জালালী পার্টি এবং সোনার বাংলা উন্নয়ন লীগ।

এর আগে গত ৩০ অক্টোবর নতুন দল নিবন্ধনের আবেদন চেয়ে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম জানান, আমাদের কাছে নতুন দলের নিবন্ধন চেয়ে কয়েকটি আবেদন এসেছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আবেদন পাওয়ার পর কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আবেদন যাচাই-বাছাই, দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে মার্চের মধ্যে নতুনদের নিবন্ধন চূড়ান্ত করা হবে। নতুন নিবন্ধিত দলগুলো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।

আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার আগে কেউ আবেদন করে থাকলে তা গ্রহণ করা হবে না। তাদেরকে পুনরায় নতুন কমিশনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো দলগুলোর নিবন্ধন দেয় ইসি। এ পর্যন্ত ৪২টি দল নিবন্ধিত হয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী সংশোধিত গঠনতন্ত্র দিতে না পারায় ২০০৯ সালে ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল করে ইসি। আর আদালতের আদেশে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ হয়।

২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসেবে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবরের পর শুরু হবে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় গণনা।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের শর্ত প্রতিপালন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে ইসি। জানুয়ারি, ২০১৮ এর মধ্যে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন বহাল রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। জানুয়ারি, ২০১৮-এর মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দলের বিষয়ে আপত্তির নিষ্পত্তি করা হবে। ফেব্রয়ারি ২০১৮-তে আবেদন যাচাই-বাছাই করে নতুনদলের নিবন্ধন চূড়ান্ত হবে। মার্চ ২০১৮-তে নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে ইসি। শর্তপূরণ সাপেক্ষে কতগুলো দলকে নিবন্ধন দেওয়া হবে তার সীমারেখা নেই।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, কমিশনের তিনটি শর্তের মধ্যে একটি পূরণ হলে একটি দল নিবন্ধনের যোগ্য বিবেচিত হয়।

শর্তগুলো হচ্ছে-১. দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে যে কোনো জাতীয় নির্বাচনে নিবন্ধনে আগ্রহী দলের প্রার্থী যদি অন্তত একটি সংসদীয় আসন পেয়ে থাকে।

২. যে কোনো একটি নির্বাচনে দলের প্রার্থী যদি সংশ্লিষ্ট আসনে পড়া মোট ভোটের ৫ শতাংশ পেয়ে থাকে।

৩.দলটির যদি একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দেশের কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ (২১টি) প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কমিটি এবং অন্তত ১০০টি উপজেলা/মেট্রোপলিটন থানায় কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থন সংবলিত দলিল থাকে। রাইজিংবিডি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়