শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজন ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি ড. ইউনূসের আইনজীবী ◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছে: ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী 

প্রকাশিত : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:১৫ সকাল
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:১৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্ত্রীর উপর রাগ করে শ্যালককে গলা টিপে হত্যা

আশরাফ চৌধুরী রাজু, সিলেট : সিলেটে স্ত্রীর উপর রাগ করে নিজ শ্যালককে চা বাগানের নির্জন স্থানে নিয়ে গলা টিপে হত্যা করেছে ঘাতক দুলাভাই। তাকে আটকের পর  সে খুনের ঘটনা স্বীকার করে লাশ কোথায় আছে তা পুলিশকে জানায়।

নিহতের আল আমীন (১৭)। সে নগরীর টিকরপাড়া এলাকার টুটুল মিয়ার ছেলে।

পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, কয়েক বছর আগে আল আমীনের বড় বোন আয়েশা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় সিলাম এলাকার লাল মিয়ার ছেলে ফয়সল আহমদের। বিয়ের পর থেকে আয়েশার সঙ্গে ফয়সলের পারিবারিক বিরোধ দেখা দেয়। নানা সময় ফয়সল স্ত্রী আয়েশার কাছে যৌতুক চায়। যৌতুকের দাবিতে প্রায় এক মাস আগে আয়েশার সঙ্গে বিরোধ বাঁধে ফয়সলের। এই বিরোধের জের ধরে আয়েশা পিতার বাড়ি নগরীর টিকরপাড়ায় চলে আসে। এরপর থেকে আয়েশা স্বামীর বাড়ি যাচ্ছিল না। এ বিরোধের কারণে কয়েক দিন আগে আয়েশার ভাই আল আমীনের সঙ্গে ফয়সলের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ফয়সল শ্যালক আল আমীনকে মারধোর করে।

এদিকে, শনিবার সকাল ১১ টার দিকে ফয়সল শশুরবাড়িতে এসে। বাড়ির ভেতরে না ঢুকে মোবাইল ফোনে আল আমীনকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল আল-আমীন। শনিবার দিনভর আল আমীনকে খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি। পরে সন্ধ্যার দিকে ফয়সলকে ডেকে নিয়ে আসা হয়। এ সময় ফয়সল ঘটনাটি অস্বীকার করে জানায়- সে আল আমীনকে দেখেনি। তার আচরণে রহস্য দেখা দেওয়ায় রাতে ফয়সলকে সিলেটের কোতোয়ালি থানা পুলিশের হাতে সোর্পদ করা হয়।  রাতভর জিজ্ঞাসাবাদকালে পুলিশের কাছে খুনের ঘটনা স্বীকার করেনি ফয়সল। তবে, বেলা দুই টার দিকে সে মুখ খুলে। শ্যালক আল আমীনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খাদিমপাড়া চা বাগানের ভেতরে রেখে এসেছে বলে জানায়। তার কথা মতো পুলিশ ফয়সলকে নিয়ে খাদিমপাড়া চা বাগানের পথে রওয়ানা দেয়। কিন্তু বাগানে যাওয়ার আগেই ফয়সল পুলিশের কাছে স্বীকার করে আল আমীনকে সে হাতপা বেধে গলা টিপে হত্যা করেছে। এরপর লাশ ফেলে এসেছে। পুলিশ তাকে নিয়ে ওই এলাকায় গিয়ে আল আমীনের হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার করে।

কোতোয়ালি থানার ওসি গৌসুল হোসেন জানিয়েছেন, ফয়সলকে রাতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুখ খোলেনি। গতকাল দুপুরে প্রথমে সে আল আমীনকে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে। পথিমধ্যে খুনের ঘটনা স্বীকার করে।

তিনি বলেন, স্ত্রী আয়েশার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ফয়সল শ্যালক আল আমীনকে খুন করেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।

এ ঘটনায় নগরীর কুয়ারপাড় টিকরপাড়া এলাকায় শোকের মাতম চলছে। আল আমীন স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ক্বারীয়ানার ছাত্র ছিল। তার পিতা টুটুল মিয়া কাপড় ব্যবসায়ী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়