রবিন আকরাম: 'পরশপাথর' বোধহয় একেই বলে। যার ছোঁয়াতে যে কোনও পার্থিব বস্তুু সোনাতে রূপান্তরিত হয়। সেই পাথরের খোঁজ পেলেন সদূর চীনের বাসিন্দা বো চুনলুর। এমন একটা জিনিস হাতে এল তার, যার স্পর্শে রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হলেন তিনি। নেপথ্যে তার পোষা শূকর।
৫১ বছর বয়সি বো চুনলুরের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য ছিল কেবলই বিলাসিতা। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের দুবেলা খাওয়া জুটলেই খুশি বো। তার জীবনের মোড় ঘোরে তখনই, যখন তার পোষা শূকরটি মারা যায়।
শূকরের পেট থেকে বিশেষ ধরনের বস্তু আবিষ্কার করেন বো, যেটি আসলে শূকরের পিত্তথলির পাথর। বিশেষ ধরনের শক্ত জমাট বাঁধা পাথরের মতো অংশটিকে বেজোর বলে। এরপরই হাতে চাঁদ পান বো। হালকা বিস্তর জ্ঞান আগেই ছিল। পাড়া প্রতিবেশীদের কাছ থেকে কিছুটা আভাস পেয়ে আরও নিশ্চিত হন। তারপরই বেজোর নিয়ে চলে যান সাংহাইতে। ৪ ইঞ্চি লম্বা ও ২.৫ ইঞ্চি চওড়া বেজাের বেচে ৮.৭ কোটি পান তিনি।
এবার প্রশ্ন কেন বেজোর এত মূল্যবান? শূকরের গলব্লাডারে অবস্থিত ওই পাথর থেকে প্রাণদায়ী ওষুধ তৈরি হয়। ইংল্যান্ডের এক গবেষক এই পাথরের গুণাগুণ প্রথম আবিষ্কার করেন। পরে চীনের চিকিৎসকরা তা ব্যবহার শুরু করেন। সূত্র: জি নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :