হ্যাপী আক্তার: খুলনা মহানগরীর সরকারি তিনটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৪১ শিক্ষার্থীকে বাদ দিয়ে ভর্তি কমিটি নতুন ফল ঘোষণা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিবাবকরা। আর তাই পরীক্ষার ফল বাতিলের দাবিতে নেমেছে আন্দোলনে। ঘটনাটি তদন্তে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
এ বছর খুলনায় ৫টি সরকারি জেলা স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর। ২১ ডিসেম্বর সকালে স্কুলের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। তবে রাতেই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত করে, ভর্তি কমিটির সভাপতি খুলনা জেলা প্রশাসক। আর নতুন ফলাফল ঘোষণা করা হয় ২৩ ডিসেম্বর।
তবে নতুন ফলাফলে খুলনা জেলা স্কুলের ৫৭ জন, ইকবালনগর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ৭৬ জন এবং সরকারি মুহসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ জন শিক্ষার্থী বাদ পড়েছেন।
নতুন ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ এনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। সংবাদ সম্মেলন, স্বারকলিপি পেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। অভিভাবকদের অভিযোগ মেধাবীদের বাদ দিয়ে ঘুষের বিনিময়ে পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে, ভর্তি কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসানের দাবি ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ করার সময় কারিগরি ভুল হয়। একইভাবে আরও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফলাফল প্রকাশে ভুল হয়েছিল। এজন্য পুনরায় যাচাই-বাছাই করে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এখানে কোনো ধরনের অনিয়ম বা জালিয়াতি হয়নি বলেও দাবি তার।
খুলনার ৫টি সরকারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ৮৪৬টি আসনের বিপরীতে এবছর পরীক্ষা দিয়েছিল ৫ হাজার শিক্ষার্থী।
আপনার মতামত লিখুন :