মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল : আইনের প্রতি যদি আনুগত্য থাকে, আইনের যদি সৌন্দর্র্য থাকে, সত্যিকার আইনের শাসন থাকে, তাহলে এই মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজা পাওয়ার কোনো কারণ নেই। নতুন নতুন মামলা দিচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার মামলায় হাজিরার প্রতিটি দিনে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস ছোড়া হচ্ছে। প্রতিপদে তাদেরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হুশিয়ারী দিচ্ছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নিবে। তার মানে সাংবিধানিক অধিকার যেটা একত্রে জমায়েত হওয়ার, চলাচল করার, মুক্তকন্ঠে কথা বলার সব কিছুকে অবরুদ্ধ করার একটি উদগ্র মানসিকতা আওয়ামী লীগকে পেয়ে বসেছে। যেটা গণতন্ত্রের জন্য মোটেই সুফল বয়ে আনবে না।
তারা কথায় কথায় উন্নয়ন বলে। উন্নয়ন কিন্তু গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ। গণতন্ত্র বিহীন উন্নয়ন হয় না। এটা আইয়ুব খানের সময় প্রমাণ, এরশাদের সময় প্রমাণ। যেটা সারা পৃথিবীতে বহু সরকার দলীয়দের শাসনামলে প্রমাণিত হয়েছে। লিবিয়া, সিরিয়া বিভিন্ন জায়গায় প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং গণতন্ত্রবিহীন উন্নয়ন, গুম, খুন, মামলা, নির্যাতন কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ লালন পালন করে না। বিএনপি ক্ষমতায় যাতে আসতে না পারে, সেটা তো আওয়ামী লীগ এবং নির্বাচন কমিশন মিলে পথ তৈরি করছে। নির্বাচন কমিশন এক ঢাক ঢোল পিটিয়ে বৈঠক করল।
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে, সুশীল সমাজের সাথে, সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে। তারপর তাদের নিজেদের অফিসার যারা আছেন, নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক অফিসার এবং জেলা অফিসারদের থেকে প্রাপ্ত একটা সুপারিশও তারা বাস্তবায়ন করেননি। আমার মনে আছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, আমরা ইভিএম ব্যবহার করব না এবং সেনা বাহিনী মোতায়েন করবো না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কয়েকদিন আগে আবার স্পষ্ট করে বললেন, ইভিএম হবে, কিন্তু সেনাবাহিনী নিয়োগ হবে না। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করার উদ্যোগ তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। মূলত নির্বাচন কিভাবে হবে অনুমান করা যায়।
পরিচিতি : যুগ্ম মহাসচিব, বিএনপি
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :