শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৭:৩১ সকাল
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৭:৩১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা আজ

ডেস্ক রিপোর্ট : দেশের সকল প্রান্তের মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা আজ। রাজধানীর বশির উদ্দিন মিলনায়তনের মহানগর নাট্যমঞ্চে এই মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল নয়টায় শুরু হয়ে এই মিলনমেলা চলবে দিনব্যাপী।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কর্তৃক আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ অন্যান্যরা উপস্থিত থাকবেন। সমাবেশকে ঘিরে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে আনন্দভাব বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকায় এসে অবস্থান নিয়েছে।

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার প্রতিষ্ঠিত দল জাতীয়তাবাদী দলের অন্যতম অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কাউন্সিল ও মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ উপলক্ষে বীরমুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হচ্ছে। বিজয়ের ৪৬ বছরে এটি আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক ও আনন্দের দিন।

ঢাকা মহানগরীর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল হালিম মিয়া বলেন, ঢাকার বাইরে থেকে ইতোমধ্যে অনেক মুক্তিযোদ্ধারা এসে উপস্থিত হয়েছেন। ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানা থেকে আজ মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ সফল করার জন্য মিছিল সহকারে বীরমুক্তিযোদ্ধারা তাদের সন্তানদের সহ উপস্থিত থাকবেন।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হোসেন বলেন, আমরা গর্বিত যে যিনি মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন সেই দলের হয়ে একজন কর্মী হিসেবে কাজ করতে পারছি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের ফেরিওয়ালা না। সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি এবং তার স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেছি।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান বলেন, আমাদের প্রস্তুতি চুড়ান্ত। অনুষ্ঠানটি ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে করার কথা ছিল। পুলিশী অনুমতি না পাওয়ায় আমরা মহানগর নাট্যমঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করতে যাচ্ছি। আশা করি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের অনুষ্ঠানে কোনরকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না। আমরা দেশের জন্য লড়াই করেছি এবং এখন লড়াই করবো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ইশতিয়াক আজিজ উলফাত বলেন, সকাল থেকেই মহানগর নাট্যমঞ্চ মুক্তিযোদ্ধাদের কলরবে ভরে উঠবে। তারা ৭১’র স্মৃতিচারণসহ সেই ৭১’র সাথীদের সাথে নতুন করে মিলিত হবেন। সেদিন যারা যুদ্ধ করেছিল তারা একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিল। আজ সেই বাংলাদেশ নেই। গুম-খুন, আর সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে দেশ চলছে। জাতি এই অবস্থা থেকে মুক্তি চায়।

মিজানুর রহমান খান বীর প্রতীক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ হবে আমাদের প্রাণের সমাবেশ। আমরা আশা করছি দীর্ঘদিন পর সাথী-সহযোদ্ধাদের একত্রে পাওয়াটাই হচ্ছে বিজয়ের ৪৬ এ আমাদের বড় অর্জন।

অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ উপস্থিত থাকবেন।

দলের বাইরে মুক্তিযোদ্ধা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, এলডিপির চেয়ারম্যান ড. অলি আহাদ বীর বিক্রম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মো. ইবরাহিম বীর প্রতীক সহ অন্যান্য নের্তৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়