মাহাদী আহমেদ : ভারতের হায়দ্রাবাদে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় পুড়িয়ে মারা হয়েছে এক যুবতীকে। সন্ধ্যা রানী নামক ২৪ বছরের এক যুবতীকে তারই এক প্রাক্তন সহকর্মী কার্তিক নামক ২৫ বছরের এক যুবক শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে হত্যা করেছে।
সন্ধ্যা রানী হায়দ্রাবাদের সেকুনদেরাবাদ এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে রিসেপশনিস্ট হিসেবে কাজ করতো। কার্তিক’ও সেই একই প্রতিষ্ঠনে কর্মরত ছিলো। তবে ২ বছর আগে তাকে সেই প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত করা হয়।
কার্তিক অনেক দিন ধরেই সন্ধ্যা রানী’কে উত্তক্ত্য করে আসছিলো। সে চাইছিলো সন্ধ্যা’কে বিয়ে করতে। কিন্তু সন্ধ্যা তাতে রাজি ছিলোনা।
কার্তিক তাকে তার সাথে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল ফোন উপহার দিয়েছিলো। কিন্তু সন্ধ্যা সেটিও তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলো।
ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে সন্ধ্যা রানী যখন অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলো তখন কার্তিক একটি মোটর সাইকেলে করে তার গতিরোধ করে।
কার্তিক তাকে জিজ্ঞেস করে সে কেনো তাকে বিয়ে করবেনা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ বাদানুবাদ হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে কার্তিক তার কাছে থাকা লুকোনো একটি বোতল থেকে সন্ধ্যার শরীরে পেট্রোল ঢেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত সেখান থেকে পলায়ন করে।
সন্ধ্যার শরীরে খুব দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়লে তার আর্তচিৎকারে লোকজন ছুটে আসে। তারা আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে তার শরীরের ৬০ শতাংশের মতো অংশ পুড়ে যায়।
তাকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসারত অবস্থায় পরের দিন সকালে সে মারা যায়। তবে মৃত্যুর আগদিয়ে সে জবানবন্দীতে কার্তিকের নাম বলে যায়।
এরপর, পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে কার্তিক’কে আটঁক করে।
পুলিশি জেরায় কার্তিক জানায় যে, সন্ধ্যা তার প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় এবং তার উপহার দেয়া মোবাইল ফোন ফেরত পাঠানোয় সে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সূত্র : এনডিটিভি।
আপনার মতামত লিখুন :