শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৩:২৬ রাত
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৩:২৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ-ভুটান মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হতে যাচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হতে যাচ্ছে। এর আওতায় উভয় দেশ দ্বিপাক্ষিক পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমিয়ে আনবে। একইসঙ্গে অন্যান্য অশুল্ক বাধাও দূর করা হবে। শিগগিরই এ ইস্যুটি নিয়ে উভয় দেশ আলোচনা শুরু করবে। বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে বাংলাদেশ ও ভুটানের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যকার বৈঠকে উভয় পক্ষ একমত হয়ে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষর করেছে।

এছাড়া দেশটি ট্রানজিটের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করতে চায়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। এটি কী উপায়ে হতে পারে, তা নির্ধারণের লক্ষ্যে একটি যৌথ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য সচিব শুভাশীস বসু। অন্যদিকে ভুটান প্রতিনিধিদলের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব দাশো ইয়েশি ওয়াংডি।

বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, ভুটান বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। নতুন করে তারা আরো ১৬টি পণ্যে এ সুবিধা চেয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিটিও) সদস্য হলেও ভুটান সদস্য নয়। ফলে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ছাড়া এ ধরণের সুবিধা দেওয়া সংস্থাটির নীতি সমর্থন করেনা। অর্থাৎ কোন সুনির্দিষ্ট প্লাটফর্ম ছাড়া এ ধরনের শুল্ক সুবিধা ডব্লিওটিও’র নীতিবিরুদ্ধ। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ভুটানকে অগ্রাধিকারমূরক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) বা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার প্রস্তাব দেয়। ভুটান ওই প্রস্তাবে সম্মতি দেয়। এ বিষয়টি নিয়ে তারা গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করবে। ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৪ কোটি মার্কিন ডলারের মত। এর বেশিরভাগই ভুটানের পক্ষে।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে, দেশটি থেকে বাংলাদেশের বার্ষিক আমদানি সাড়ে তিন কোটি ডলারেরও বেশি। আর বাংলাদেশ রপ্তানি করে ৪০ থেকে ৫০ লাখ ডলারের পণ্য। ভুটান থেকে আমদানির পণ্যের তালিকায় বোল্ডার ও চুনা পাথর, ফেরো সিলিকন ও কমলা অন্যতম। অন্যদিকে বাংলাদেশ স্বল্প পরিমাণে কিছু তৈরি পোশাক রপ্তানি করে থাকে। বর্তমানে দেশটি বাংলাদেশে ১৯ ধরণের পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। আরো বেশকিছু পণ্যে তারা এ সুবিধা চায়। তবে দেশটি বাংলাদেশ থেকেও আমদানি বাড়াতে চায় বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভুটান সফরকালে ট্রানজিটের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। এ কার্যক্রমকে দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার বিষয়েও উভয় পক্ষ একমত হয়েছে। এ লক্ষ্যে ভুটান ইতিমধ্যে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটি শিগগিরই বৈঠক করবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব এহতেশামুল হক। তিনি বলেন, ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। বিশেষত তৈরি পোশাক ও ওষুধ রপ্তানির ভালো বাজার হতে পারে ভুটান। পিটিএ বা এফটিএ হলে তাতে উভয় দেশই লাভবান হবে। সমঝোতা স্মারকে এ বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইত্তেফাক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়