আসাদুজ্জামান সম্রাট : মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া জাতীয় সংসদের দু’টি আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় এসেছেন প্রয়াত দু’জনের স্ত্রীরা। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের প্রয়াত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হকের স্ত্রী দিলশাদ আরা বেগম চিনু ও গাইবান্ধা-১ আসনের উপ-নির্বাচনে সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি দলীয় মনোনয়ন চান। তাদের বাইরেও প্রায় অর্ধডজন নেতা দু’আসনে মনোনয়ন পেতে দৌড়-ঝাপ শুরু করেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হকের শূন্যতা পূরণ করবেন কে এ নিয়ে শুরু হয়েছে সর্বত্র আলোচনা। তবে ছায়েদুল হক পত্নী দিলশাদ আরা বেগম চিনু বলেছেন, ‘এটি এলাকার জনগণই ঠিক করবে। প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশ দেবেন সেটিই করব আমরা।’
এদিকে উপনির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা এম এ করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকারও চেষ্টা চালাচ্ছেন।
জামাতের ঘাটি হিসেবে পরিচিত গাইবান্ধা-১ আসনটি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে উদ্ধার করেন আওয়ামী লীগের মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজ বাড়িতে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন তিনি। তার শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে তার স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি ও বোন আফরোজা বারীর মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে ওই আসনে প্রার্থী করা হয় মো. গোলাম মোস্তফাকে।
একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ১৯ ডিসেম্বর ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হলে আসনটি আবারও শূন্য হয়। শূন্য হওয়া আসনের উপ-নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হতে মাঠে নেমেছেন লিটনের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি। ইতিমধ্যে লিটন হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও মূল আসামী গ্রেফতার হওয়ায় দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে স্মৃতির নাম আলোচনায় চলে এসেছে।
স্মৃতি ছাড়াও এই আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান এমদাদুল হক নাদিম, সাজেদুল ইসলাম ও রেজাউল আলম রেজা। দলীয় মনোনয়ন লাভে ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :