রিকু আমির : নারায়ণগঞ্জের ‘খানপুরে ৩০০ শয্যার হাসপাতালকে ৫০০ শয্যা’ নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রায় সাড়ে সাত একর জমির উপর নির্মিত এই হাসপাতাল সীমানার ভেতরেই সরকারি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার চিন্তাভাবনাও চলছে।
হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোতালেব মিয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, আগামী জানুয়ারির শেষ দিকে ৫০০ শয্যা নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
পৃথক একটি ১৮ তলা ভবনে ৫০০ শয্যা করা হবে। যদিও প্রথমে ১৫ তলা পর্যন্ত করা হবে। পরিকল্পনা আছে- এ ভবনেই সব ধরণের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে। যেন চিকিৎসা গ্রহণে ভবনের বাইরে গিয়ে কষ্ট না হয়।
১৯৮৬ সালে খানপুরে এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে সরকার। তখন শয্যা ছিল ২০০। ২০১৩ সালে আরও ১০০ শয্যা বৃদ্ধি করা হয়। বর্তমানে এখানে প্রতিদিন গড়ে ১২০০ রোগী আসেন বর্হিবিভাগে, প্রতিদিন ভর্তি থাকেন ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী।
নারায়ণগঞ্জে একটি জেলা সদর হাসপাতাল আছে। তবে সরকারি পর্যায়ে খানপুরের হাসপাতালটিই নারায়ণগঞ্জের একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল বলে জানান ডা. মোতালেব মিয়া। যদিও এখানে ভারী চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই গুরুতর অবস্থাসম্পন্ন কোনো রোগীকে ঢাকা প্রেরণ করেন চিকিৎসকরা। হৃদরোগ বিভাগ থাকলেও নেই করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)। নেই ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটও (আইসিইউ)।
তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোতালেব মিয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, নতুন ভবনটা হোক। এখানে একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব সরকারকে দেয়ার চিন্তাভাবনা আছে। আসলে নারায়ণগঞ্জে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ আসলেই দরকার। এটি হলে অধ্যাপকরা থাকবেন। তারা উন্নত চিকিৎসা প্রদান করতে পারবেন। এতে ঢাকামুখীতা কমবে। সিসিইউ-আইসিইউ’র মতো গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটও চালু করা যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :