শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৪:৫১ সকাল
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৪:৫১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বেশির ভাগ বিত্তবানই ঋণখেলাপি

ইসমাম আহমেদ : বাংলাদেশে যারা বিত্তবান, তাদের বেশির ভাগই ঋণখেলাপি। তারা কোনো না কোনোভাবে ঋণখেলাপিতে জড়িত। আশির দশকের শুরু থেকে এই সুবিধা দেওয়ায় এখনো একটি গোষ্ঠী ঋণখেলাপির মাধ্যমে বিত্তবান হচ্ছে। এখন বিষয়টি ঋণখেলাপির মাঝে সীমাবদ্ধ নেই, যেহেতু এ কাজটি অনেক দিন যাবত করে আসছে তাই তাদের লোভের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। এখন এমন হয়ে দাঁড়িছে, নিয়ম-কানুনের মাধ্যমে সম্পদ লুট করবে, সেটাও তারা রাজি না। বাংলাদেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ আনু মোহাম্মদ দৈনিক আমাদের অর্থনীতিকে এই সব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাদী বিশ্বে কিছু ব্যবসায়ী গোষ্ঠী নানা রকমে টাকা বানানোর ধান্দা করে। ধান্দা যখন পুরা ব্যবস্থাকে বিপর্যয়ের দিকে যায়, তখন সরকার বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম-নীতি দিয়ে সংযত রাখার চেষ্টা করে। বাংলাদেশে নিজেই এই ধরনের গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা করে। পৃষ্ঠপোষকতা করছে আমরা জানলাম কিভাবে? কারণ এই ঘটনাগুলো একের পর এক ঘটছে এবং এই ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তাদের আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদ আনু মোহাম্মদ বলেন, যতগুলো তদন্ত প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হয়েছে তার কোনোটাই অগ্রসর হতে পারেনি। অর্থমন্ত্রী নিজেই যেখানে বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। এমন পর্যায়ে গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক যেখানে সবচেয়ে সুরক্ষিত দূর্গ হওয়ার কথা ছিল, সেখান থেকেও টাকা পাচার হচ্ছে। ফলে এটা পরিষ্কার, সরকারের এখানে প্রত্যক্ষ ইন্ধন ও পৃষ্ঠপোষকতা আছে। তাদের রক্ষা করার চেষ্টার কারণে এই পর্যায়ের যারা অপরাধী তাদের ধরা হচ্ছে না। বরং এ ধরনের গোষ্ঠীগুলোকে লালন করার জন্য সরকার নতুন নতুন ব্যাংক খুলছে ও আইন-কানুন পরিবর্তন করছে। এমন কি বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা খর্ব করার মতো দিকেও যাচ্ছে বাংলাদেশ।

ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম বা ঋণ নিয়ে না দেওয়া, আমানতকারীদের সাথে প্রতারণা করার মতো ঘটনা বাংলাদেশ যেভাবে ঘটছে তা না, পৃথিবীর অনেক দেশেই এগুলো ঘটছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থা মানে হচ্ছে, সাধারণ আমানতকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কিছুসংখ্যক মানুষের কাজে লাগানো।
এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, বাংলাদেশে যেটা হচ্ছে, কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সুবিধার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে সব সুবিধা, সেটা খুবই দৃষ্টিকটূ। ব্যাংকিং খাতের যে নীতিমালা আছে, তা থেকে বাংলাদেশ অনেক দূরে। ব্যাংক একটা প্রতিষ্ঠান, তার একটা নিয়ম নীতিমালা থাকবে।

সেই নীতিমালার মধ্যেই হয়ত কিছু কিছু লোক সুবিধা নেয়। বাংলাদেশে যেটা হচ্ছে, নিয়ম কানুনকে তোয়াক্কা না করে, পুরা প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়াটাকে ধ্বংস করা হচ্ছে। আমাদের দেশে এমন একটা বিত্তবান গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে, যাদের কাজ হচ্ছে খুব দ্রুত টাকা বানানো। এ ক্ষেত্রে তারা সফলও হচ্ছে। এর ফলে কিছু গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে, যারা খুব দ্রুত বিত্তবান হচ্ছে, যার উৎস আমাদের কাছে অজানা। সেটাকে অদৃশ্য অর্থনীতি বলে, সে পথে তাদের একটা তৎপরতা আছে।
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়