শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:১০ সকাল
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আলোচনায় এবার মৎস্যমন্ত্রীর স্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হকের শূন্যতা পূরণ করবেন কে এ নিয়ে শুরু হয়েছে সর্বত্র আলোচনা। উপনির্বাচনে তার পরিবারের কেউ প্রার্থী হচ্ছেন কি না এমন প্রশ্ন তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে সবাইকে। তবে ছায়েদুল হক পত্নী দিলশাদ আরা বেগম চিনু বলেছেন, ‘এটি এলাকার জনগণই ঠিক করবে। প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশ দেবেন সেটিই করব আমরা।’ তবে উপনির্বাচনে দিলশাদ আরা বেগম চিনু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন এমন আলোচনা চলছে জোরেশোরে। তিনি উচ্চশিক্ষিত। ছায়েদুল হকের রাজনীতিতে প্রেরণা জুগিয়েছেন তিনিই। দিলশাদ আরা বেগম চিনু বলেন, ‘নাসিরনগরের মানুষই ছিল ছায়েদুল হকের সবকিছু। পরিবার বলতে কোনো কিছু ছিল না তার কাছে। তার প্রতি এলাকার মানুষের ভালোবাসাও ছিল অপরিসীম। এই ভালোবাসা ধরে রাখতে হবে।’ ছায়েদুল হক বারবারই ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে বিজয়ী হয়েছেন। ১৯৭৩, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো জয়ী হন তিনি এ আসন থেকে। ২০০১ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম বিভাগে আওয়ামী লীগের ফল বিপর্যয়ের মধ্যেও জয়ী হয়ে চমক দেখিয়েছিলেন তিনি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর এই নেতাকে মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী করা হয়। আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এই নেতা দীর্ঘ তিন মাস বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগে ১৬ ডিসেম্বর ইন্তেকাল করেন। তিনি ছিলেন খুবই সৎ ও ধর্মপরায়ণ। এদিকে উপনির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা এম এ করিমের নাম শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকারের নামও আলোচনায় রয়েছে। তিনি নাসিরনগর সহিংসতার আগে-পরে ছায়েদুলবিরোধী অবস্থানের কারণে আলোচিত হয়ে ওঠেন। পরে সহিংসতার ঘটনায় উসকানিদাতা হিসেবেও তার নাম আলোচনায় আসে। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সভায় বক্তৃতা করেন মনিরুজ্জামান সরকার। ওই সমাবেশ থেকেই মন্দির ও হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি নাসিরনগর সহিংসতার একটি মামলায় ২২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। কিন্তু তাতে উসকানিদাতাদের নাম না থাকায় ক্ষোভ দেখা দেয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে। এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকার ১৯৯৪ সালের শেষ দিকে গঠিত কামরুল আলম ভূঁইয়ার নেতৃত্বাধীন নাসিরনগর উপজেলা ছাত্রদলের কমিটিতে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদ পান। ওই সময় বুড়িশ্বর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন তিনি। ছাত্রদলের এই কমিটি স্থায়ী হয় সাত-আট বছর। সেখান থেকে ছায়েদুল হক তাকে এনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করেন। পরে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানও বানান তাকে। ছায়েদুল হকের বিরোধিতায় নেমে সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন চাওয়ার ঘোষণা দেন এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকার। এদিকে বিএনপি উপনির্বাচনে আসবে কিনা, এলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, আর এ কে সিরামিকসের কর্ণধার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান নির্বাচন করবেন কি না তা নিয়েও আছে আলোচনা।

সূত্র : বিডি প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়