শিরোনাম
◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক

প্রকাশিত : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:০৮ সকাল
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:০৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হুমকির পরও প্রত্যাখ্যান, পরাহত ট্রাম্পের কূটনীতি

ডেস্ক রিপোর্ট : সহযোগিতা বন্ধ এবং দেখে নেওয়ার হুমকির পরও সাধারণ পরিষদের জরুরি বৈঠকে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে জাতিসংঘ। এই ঘটনাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কূটনীতির পরাজয় হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, হুমকির পরও সবচেয়ে বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আর ফিলিস্তিনিরা জেরুজালেম ইস্যুতে এটাকে নিজেদের জয় হিসেবে বিবেচনা করছে।

ভোটে হেরে যাওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে ভোটে হারলেও কূটনৈতিকভাবে সফল হওয়ার দাবি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিবৃতিতে ভোটের ফলকে একটি বিজয় হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। ভোটে অনুপস্থিত থাকা ২১ দেশের পাশাপাশি ভোটদানে বিরত থাকা ৩৫ দেশকে ১৯৩ সদস্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সাংবাদিকদের ই-মেইলে পাঠানো ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সার্বভৌম অধিকার সত্ত্বেও এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে একঘরে করে ফেলার চেষ্টার সময়ও অনেক দেশ আমাদের সঙ্গে রয়েছে।’

কিন্তু ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদিবাদী সংগঠন এই ফলাফলে ইতিবাচক কিছুই দেখছে না। আমেরিকান ইহুদি কমিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভিড হ্যারিস জানান ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে স্বীকৃতির মার্কিন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে সদস্য দেশগুলোর সমর্থনে তিনি ভীত হয়ে পড়েছেন।

ফ্রান্স ও ব্রিটেনের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্ররাও নিরাপত্তা পরিষদের পর সাধারণ পরিষদেও ১৯৬৭ সালের চু্ক্তি অনুযায়ী জেরুজালেমের মর্যাদা নির্ধারণের প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে। তারা এখনও তাদের সিদ্ধান্তে অটল থেকে এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে বিচ্ছিন্ন করতে কাজ করছে। ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিস দেলাতরে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোনীত শান্তি প্রক্রিয়ার সঠিক উপায় মেনে চলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের মতো সবাই নিজের ভূমিকা ও প্রভাবের বিষয়ে সচেতন।’

নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে লিখেছে, দায়িত্বের এক বছরের মধ্যে পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের অর্জন করতে চাওয়া ট্রাম্পের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জেরুজালেমনীতির পরিবর্তন করা হয়েছে। ওই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করাই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় কূটনীতিক অবস্থা। এর আগে জাতিসংঘকে ‘সামাজিক ক্লাব’ হিসেবে মন্তব্যকারী ট্রাম্প ও জাতিসংঘের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বাড়বে বলেই মনে হবে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা স্টিওয়ার্ট এম প্যাট্রিক বলেন, ‘আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটা সত্যিই অপ্রয়োজনীয় নড়বড়ে কূটনীতি ও আত্মঘাতী জখম।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গৃহীত ‘কৌশল’ পরিবর্তন করেছে। তার চেয়ে বড় কথা, আমি একে যুক্তরাষ্ট্রের আত্মরক্ষার কৌশলের প্রতীক হিসেবে দেখছি। তারা মনে করে, এটা আমার পথ অথবা সবার পথ।’

বাংলাদেশ, তুরস্ক, ভেনেজুয়েলা, পাকিস্তান, মালদ্বীপসহ অন্যান্য দেশের অনেক কূটনীতিকতরা ভোটের আগে যুক্তরাষ্ট্রের চাপকে ‘অপরাধ’ বলে অভিহিত করেছেন।

ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ মালকি বলেন, ‘মনে রাখবেন, কারা সত্যের পক্ষে আর কারা মিথ্যা বলছে– তাদের সবার নাম ইতিহাসে লেখা থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা কোনও হুমকিতে নত হতে না। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে ভয়াবহ পরিণতির কথা উপক্ষে করা হয়েছে।’

জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ এইচ মনসুর ভোটের পরে এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, ট্রাম্প প্রশাসন জাতিসংঘের বিপক্ষে কাজ করতে চায়। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলের বিষয় বাদ দিয়ে জাতিসংঘের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। তারা ইস্যুটি তৈরি করার পর থেকে অভূতপূর্ব কৌশল ব্যবহার করছে। জাতিসংঘে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাদ দিয়ে তারা হুমকি ও জোরজবরদস্তি করেছে। তারা পুরো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ক্ষেপিয়ে তুলেছে।’

পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মালিহা লোধি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ‘কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন ধরনের হুমকি সত্ত্বেও’ ফিলিস্তিনের প্রতি তার দেশের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে।

ইসরায়েল বাদে যুক্তরাষ্ট্রে পক্ষের দেশগুলো হলো, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, দ্য মার্শাল আইল্যান্ড, দ্য ফেডেরেটেড স্টেসস অব মাইক্রোনেশিয়া, নারাউ ও পালাউ। এসব স্বল্প পরিচিত দেশগুলো মার্কিন সহায়তার ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। এছাড়া এই ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের আরব মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। আর দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার র মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব সমাধানের বিষয়টিও জটিল করে তুলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে মিসর, জর্ডান, আফগানিস্তান, ইরাক ও পাকিস্তান বড় ধরনের সহায়তা নিয়ে থাকে। তারাও প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে গিয়ে ট্রাম্পের হুমকিকে অগ্রাহ্য করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা নির্ভর হাইতি, মেক্সিকো ও দক্ষিণ সুদান ভোটদানে বিরত ছিল।

মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্প মিসরের মতো সংসদীয়ভাবে অনুমোদিত দেশগুলোতে সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর হয়েছেন। মানবাধিকার লঙ্ঘন ও উত্তর কোরিয়ার শ্রমিকদের কাজের সুযোগ দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় গত গ্রীষ্মে কায়রোতে পাঠানোর জন্য প্রায় ৩০ কোটি মার্কিন ডলারের সহায়তা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জর্ডান ও মিসরের মতো দেশগুলোর উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট নির্ভরতার কারণে ট্রাম্পের হুমকির বাস্তব প্রভাব খুব বেশি কার্যকর হবে না। মিসরে সহায়তা বন্ধ করলে ইসরায়েলই সবার আগে প্রতিবাদ জানাবে। কারণ এমন সিদ্ধান্তে সেখানে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে তারা ভয় পায়। তাই ভোটের দিনেই ট্রাম্প প্রশাসনকে পিছু হটতে দেখা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র হিদার নৌরেট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বলেছেন বৈদেশিক সম্পর্ক এবং একমত বা ভিন্নমতের দেশগুলোকে বিবেচনার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ ভোটের বিষয়টিই একমাত্র বিষয় নয়।’ তিনি আরও জানান, সহযোগিতা বন্ধের সিদ্ধান্তটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

আরব উপসাগরীয় বিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিমোথি এ লেনডারকিং ট্রাম্পের মন্তব্য ‘সবার জন্য নিছক হুমকি’ নয় বলে জোর দিয়েছেন। তবুও গৃহযুদ্ধ আক্রান্ত মানবিক সংকটাপন্ন ইয়েমেন এবং সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। তিনটি দেশই মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদার।

ইয়েমেন ও তুরস্ক সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবটির খসড়া প্রস্তুত করেছে। এতে জেরুজালেম ইস্যুতে আগের অনেক প্রস্তাবের উল্লেখ করে সেখানে ‘কূটনীতিক দূতাবাস স্থাপন থেকে বিরত থাকতে’ সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ইসরায়েলের দখলে থাকা পূর্বজেরুজালেমকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে মনে করা হয়।

প্রস্তাবটিতে যুক্তরাষ্ট্রে নাম উল্লেখ করা হয়নি কিন্তু দুই-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাধানের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। নিরাপত্তা পরিষদে প্রায় একই ধরনের আরেকটি প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে পাস হয়নি। সেখানে প্রস্তাবের বিপক্ষে কোনও ভোট না পড়ায় ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হন। এরপরই সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হয়।

জাতিসংঘের সঙ্গে বৈরিতামূলক সম্পর্ক থাকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথম নন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট জাতিসংঘ গঠনের উদ্যোগ নেন। পরে জাতিসংঘের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের প্রতি প্রকাশ্য বিরোধিতা করলে রুজভেল্টকে কয়েকবার কোণঠাসা হতে হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড আর ফোল্ডের সময়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল প্যাট্রিক ময়নিহানের ভাষায় তাদের কয়েকবার ‘বিপজ্জনক অবস্থায়’ পড়তে হয়েছিল। ২০০৩ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ইরাক ইস্যুতে জাতিসংঘে তার মিত্রদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। এরপর তিনি নিরাপত্তা পরিষদের ১৪৪১ প্রস্তাবকে তার দেশের প্রতি ‘আক্রমণ’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান লিখেছে, কিন্তু জেরুজালেম ইস্যুতে জাতিসংঘের রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আচরণে কিছু এখন গুণগত পরিবর্তন এসেছে। হুমকির ভাষাগুলো এতই ‘জনপ্রিয়’ আর ‘উত্তেজক’ ছিল যে, তা বিদেশের নয়, মনে হয়েছে দেশের নাগরিকদের উদ্দেশে বলা। ভোটের আগে ২৪ ঘণ্টায় অসংখ্য কূটনীতিককে সতর্ক করা হলেও এতে হিতে-বিপরীত হয়েছে। তা যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বিচ্ছিন্ন করেছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-র খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার জেরুজালেম প্রস্তাবে সমর্থন দেয়নি এমন ৬৪টি দেশকে জানুয়ারিতে নিকি হ্যালি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সিএনএন’র কাছে থাকা একটি আমন্ত্রণপত্রে দেখা যায়, অনুষ্ঠানটিকে 'যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্বের জন্য ধন্যবাদ দেওয়া'র উপায় হিসেবে দেখা হয়েছে। এরপরও এসব দেশ সাধারণ পরিষদের জরুরি বৈঠকে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দেওয়াকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন তারা। তবে কিছু কিছু দেশ চুপ ছিল মার্কিন হুমকির কারণে।

জেরুজালেমকে নিজেদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে ফিলিস্তিনিরা

হ্যালির হুঁশিয়ারির কড়া জবাব দিয়ে টুইট করেছেন ওবামা প্রশাসনের আমলে সিআইএ প্রধানের দায়িত্বপালন করা জন ব্রেনান। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘে সার্বভৌম দেশগুলোর বিরুদ্ধে হুমকি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এতেই বোঝা যায় ট্রাম্প আসলে সবাইকে তার অনুগত করতে চান। এটা নার্সিজম, প্রতিহিংসাপরায়ণ স্বৈরশাসন।

বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ রিচার্ড গোয়ান বলেন, ‘ফিলিস্তিন সংক্রান্ত ইস্যুতে ব্যাপক বিরোধিতার মুখে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সব সময় নিজেদের সংখ্যালঘু হিসেবে দাবি করেছে। মার্শাল আইল্যান্ডের মতো মুষ্টিমেয় কিছু বন্ধু দেশের সহায়তা নিয়েছে।

গোয়ান আরও বলেন, ‘ট্রাম্পের হুমকির পরও জাতিসংঘের বেশিরভাগ সদস্যই নিরাপদ রয়েছে। আয়তনে ক্ষুদ্র আর গরিব দেশগুলো ট্রাম্পের হুমকিতে উদ্বিগ্ন থাকতে পারে। কিন্তু ইউরোপসহ বিত্তশালী আরব দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ভোট দেওয়ায় তারা ভরসা পাবে।’ বাংলাট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়