মরিয়ম চম্পা : অবশেষে কার্যকর হলো যুক্তরাষ্ট্রের কর বিল। গতকাল রাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে কার্যকর হয় বিলটি। এর আগে ডেমোক্রাটদের প্রবল বিরোধিতা সত্তে¡ও মঙ্গলবার মার্কিন সিনেটে বিলটি পাসের পর বুধবার প্রতিনিধি পরিষদও এর পক্ষে রায় দেয়।
বলা হচ্ছে, বিগত ৩০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে এতবড় সংস্কার আর হয়নি। ট্রাম্পের স্বাক্ষরের পর যুক্তরাষ্ট্রের কর ব্যবস্থায় নতুন অধ্যায় শুরু হলো।
নতুন আইনে উচ্চবিত্ত, শিল্পপতি এবং কর্পোরেট সংস্থাদের বিপুল ছাড়ের সুযোগ দিয়েছেন ট্রাম্প। বিরোধীদের অভিযোগ নতুন আইনে মধ্যবিত্তরা সুবিধা কম পাবে। যদিও বিলের পক্ষে থাকা রিপাবলিকানরা বলছে, ধনী আর কর্পোরেট সংস্থাদের ছাড় দিলে বিনিয়োগের পথ খুলবে, বাড়বে কর্মসংস্থান। এ কারণেই নতুন কর ব্যবস্থায় তাদের কর ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২১ শতাংশ করা হয়েছে।
তবে, ট্রাম্প তার কর বিলকে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য একটি ‘চমৎকার এবং বড় ধরনের বড়দিনের উপহার’ বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার কর পরিকল্পনায় মধ্যবিত্তরা খুব বেশি লাভবান হবেন না। তারা আয়করে ছাড় পাবেন কম।
মধ্যবিত্ত স্বার্থের কথা বলেই এ বিলে এতদিন ঘোর আপত্তি জানিয়ে এসেছে ডেমোক্রেটরা। কিন্তু রিপাবলিকানরা বলছে, নতুন কর আইনের আওতায় দেশের প্রতিটি করদাতারই গড়ে ২ শতাংশ কর মওকুফ হবে। ফলে এটি পুরোপুরি মধ্যবিত্ত স্বার্থ-বিরোধী না।
বলা হচ্ছে, নতুন কর ব্যবস্থায় একটি মধ্যবিত্ত পরিবার বছরে দু’হাজার ডলার কম আয়কর দিতে পারবে। কিন্তু আয়কর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি মধ্যবিত্ত পরিবার তাদের গড় আয়ের ক্ষেত্রে নতুন কর ব্যবস্থায় বছরে ৯০০ ডলারের বেশি ছাড় পাবে না।
এদিকে, বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের কর ব্যবস্থায় ধনীরাই সবচেয়ে বেশি সুবধা পাবেন। আর করদাতাদের একটা বড় অংশ তাৎক্ষণিকভাবে কম কর দেওয়ার সুবিধা পেলেও দীর্ঘমেয়াদে আর সে সুবিধা থাকবে না।
যুক্তরাষ্ট্রে আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ট্রাম্পের এ কর ব্যবস্থা বড় ধরনের ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি
আপনার মতামত লিখুন :