নুরুল আমিন হাসান : বেশ কিছুদিন নিখোঁজ থাকার পর ফিরে এসেছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মুবাশ্বার হাসান সিজার ও সাংবাদিক উৎপল দাস। কিভাবে, কেন ও কী কারণে নিখোঁজ হয়েছিলেন তা জানতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। শুক্রবার বিকালে রাজধানীর হাতিরঝিলে নৌকাবাইচ উদ্বোধনের সময় তিনি এ তথ্য জানান।
নিখোঁজ হওয়ার পর মুবাশ্বার ও উৎপলের ফিরে আসা ও কারা কী কারণে তাদের নিয়ে গিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এমন প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। উত্তরে তিনি বলেন, ‘তারা ফিরে এসেছেন ও সুস্থ আছেন। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবো কিভাবে, কেন ও কী কারণে তারা নিখোঁজ হয়েছিলেন। সব জানার পর আপনাদের বলতে পারবো।’
দুই মাস ১০ দিন পর গত ১৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের ভোলতা এলাকায় উৎপল দাসকে কে বা কারা রেখে যায়। এর দুই দিন পর ৪৪ দিন ধরে নিখোঁজ থাকা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মুবাশ্বার হাসান সিজারকে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে বিমানবন্দর সড়কে রেখে যায় ‘অপহরণকারীরা’।
অপহরণের পেছনে টাকাই মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে ধারণা শিক্ষক মুবাশ্বার হাসান সিজার ও সাংবাদিক উৎপল দাসের। ফিরে আসার পর উভয়ে এই মন্তব্য করেছেন।
মুবাশ্বার ও উৎপলের আগে গত ১৮ নভেম্বর ফিরে এসেছেন বেলারুশের অনারারি কনস্যুলার অনিরুদ্ধ কুমার রায়।
সব মিলিয়ে গত সাড়ে চার মাসে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে রহস্যজনকভাবে ‘অপহৃত’ ও ‘নিখোঁজ’ হওয়া ১৫ জনের মধ্যে ফিরেছেন ১০ জন।
ফিরে আসা ব্যক্তির তালিকায় আরও আছেন ব্যাংক এশিয়ার এভিপি শামীম আহমেদ, বাংলাদেশ জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি মিঠুন চৌধুরী ও দলটির কেন্দ্রীয় নেতা অসিত ঘোষ অসিত, দক্ষিণ বনশ্রীর নকিয়া-সিমেন্সের সাবেক প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান আসাদ, অ্যাভেনটিস-স্যানোফির ফার্মাসিস্ট জামাল রহমান, শাজাহানপুরের ফল ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন ও গুলশানের প্রকাশক তানভীর ইয়াসিন করিম।
বাকি পাঁচ জনের সন্ধান মেলেনি এখনও। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও এবিএন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ সাদাত আহমেদ, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম. এম আমিনুর রহমান, কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইশরাক আহমেদ ও লন্ড্রি ব্যবসায়ী সিরাজুল হক মিন্টু।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
আপনার মতামত লিখুন :