কামরুল আহসান : আর্টিকেল-৫০ প্রয়োগ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের কার্যক্রম ব্রেক্সিট শুরু করে দিয়েছে ব্রিটেন। কিন্তু গত শুক্রবার ব্রিটিশ হাইকোর্ট আর্টিক্যাল-৫০’র কার্যকারীতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। আর্টিকেল-৫০ আইনি বৈধতা নিয়ে একদল আন্দোনকর্মী মামলা দায়ের করলে এমন চ্যালেঞ্জ করা হয়।
একদল ব্রিটিশ নাগরিক এখনো এ আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের দাবি, ইউরোপীয় ইইউ ত্যাগের বৈধতা পার্লামেন্ট থেকে পাশ হয়নি। বরং জনগণের ভোটের জোরেই এর কার্যক্রম অব্যহত রাখা হচ্ছে। অথচ, আর্টিকেল-৫০ শর্তই ছিল ইইউ ত্যাগ করতে হলে আগে পার্লামেন্টের সদস্যদের অনুমোদন লাগবে। থেরেসা মে’র সরকার আদালতের সদস্যদের মতামত প্রাধান্য না দিয়ে গণভোটের জোরেই কাজ করছে। বিরোধী দলের অনেক আপত্তি তিনি মানছেন না।
ব্রেক্সিট গণভোটের কয়েক দিন পরই এর আইনি বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানান ব্রিটিশ নাগরিক জিনা মিলার। তিনি বলেছিলেন, ইইউ ত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা সাধারণ নাগরিকের নয়, বরং পার্লামেন্টের সদস্যদের হাতে। তারপর তার দাবি নিয়ে একমত হয়েছে আরো অনেকে। এ নিয়ে এখন বিশাল প্রচারণাও চলছে। আয়োজন করা হয়েছে ক্যাম্পেইন। আদালতে মামলা চালানোর জন্য জমা হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার পাউন্ড। প্রায় ৩ হাজার ৯০০ জন সেখানে অনুদান দিয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন এলিজাবেথ ওয়েবস্টার। ৫৪ বছর বয়সী এলিজাবেথ গত সাধারণ নির্বাচনে লিবারেট ডেমোক্রেট দলের একজন প্রার্থী ছিলেন। এখন তিনিই এ আন্দোনকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
ইন্ডিপেন্ডেট সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, আমরা ব্রেক্সিট বন্ধ করতে চাই না। আমরা শুধু চাই যা হচ্ছে তা জনগণকে জানাতে। এবং যা হবে তা যেন আইনগত বৈধতা মেনে হয়।
আর্টিকেল-৫০ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আন্দোলনকারীরা বলছেন, সরকার পার্লামেন্টের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে। তারা যদি আদালতে জিতে যায় তাহলে ব্রেক্সিটের আইনি বৈধতা বাতিল হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডেডিড ডেভিস মন্তব্য করেছেন, গণতন্ত্রের নামে একদল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে বিভ্রান্ত করছেন। সংসদ ও জনগণের চাপে পড়ে তিনি এখন পর্যদুস্ত। দ্য ইন্ডিপেন্ডেট
আপনার মতামত লিখুন :