এম এ রাশেদ তালুকদার: জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) হ্যাটট্রিক শিরোপায় চোখ রাখছে খুলনা বিভাগ। চলতি মৌসুমের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে চালকের আসনে তারা। ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে পুরো আলোটা নিজের করে নিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এনামুল হক বিজয়।
শুক্রবার বিকেএসপিতে টায়ার-১ এর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের তৃতীয় দিনে দ্বিশতক আদায় করে নেন ২৫ বছর বয়সী কুষ্টিয়ার এ ক্রিকেটার। ব্যক্তিগত ২০২ রানে শুভাগত হোমের বলে আউট হন বিজয়। তার ২৫১ বলের চোখ ধাঁধানো ইনিংসটিতে ছিল ২৩টি চার ও ৪টি ছক্কার মার।
আর কিছুক্ষণ উইকেটে থাকতে পারলে নিজের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারতেন এনামুল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার সর্বোচ্চ স্কোর ২১৬। তাতে কী! বিজয়-মেহেদির ৩০৭ রানের জুটিতে লিডের পাহাড় গড়েছে টানা দু’বারের চ্যাম্পিয়নরা। ৮ উইকেট হারিয়ে ৪৫৯ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে আব্দুর রাজ্জাকের দল।
এদিকে এনামুল কাক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছালেও ডাবল সেঞ্চুরির আক্ষেপে পুড়েন উদীয়মান ব্যাটিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান। ১৬০ বল মোকাবেলায় ১৭৭ রানে থামেন এ ব্যাটার।
বিজয়ের ডাবল সেঞ্চুরির দিনে নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেন জাতীয় দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকা ক্রিকেটার নাসির হোসেন।
শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে
বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে রংপুর বিভাগকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নাসির। এদিন হার না মানা (২৭০) ডাবল সেঞ্চুরি করে নিজেকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেলেন নাসির। যেখানে চারের মার ২৯টি ও ছক্কা ছিল ৩টি।
চারদিনের ম্যাচে নাসিরের আগের সেরা ইনিংসটি ছিল ২০১ রানের। প্রথম শ্রেণিতে ৮০ ম্যাচের (চলতি ম্যাচ বাদে) ১২৯ ইনিংসে ব্যাট করে ২৭টি ফিফটি ও পাঁচ সেঞ্চুরির সাহায্যে ৩৫.৮৪ গড়ে ৪৪০৯ রান করেছেন এই তারকা অলরাউন্ডার।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টায়ার-১ (প্রথম স্তর) এর ম্যাচে নাসিরকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন সেঞ্চুরিয়ান আরিফুল হক (১৬২)। যিনি সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে খুলনা টাইটান্সের হয়ে আলো ছড়িয়েছেন।
দলীয় ১৮৫ রানে চার উইকেট হারানোর পর নাসির-আরিফুলের অসাধারণ জুটিতে প্রথম ইনিংসে বরিশালের ৩৩৫ রানের জবাবে তৃতীয় দিনে নাসিরের রংপুর পাঁচ উইকেটে ৫৭০ রানের সুবাদে ২৩৫ রানের বড় লিডের দিকে এগুচ্ছে রংপুর।
আপনার মতামত লিখুন :