লিহান লিমা : মার্কিন সিনেটে নতুন কর নীতি পাশ হওয়ার পর উচ্ছ্বসিত মনোভাব প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রিপাবলিকানরা। যদিও ডেমোক্রেটরা এর কঠোর সমালোচনা করছেন। কারণ ট্রাম্প এটিকে মার্কিন জনগণের ঐতিহাসিক বিজয় বললেও ট্রাম্প পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের লাভের অঙ্কটা বিপুল।
নতুন এই কর সংস্কার পরিকল্পনার আওতায় ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে বছরে ১১ থেকে ১৫ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পারবেন। ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের সাশ্রয় হবে ৫ থেকে ১২ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ পাঁচজন ব্যক্তির সাশ্রয় হবে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার। ওয়াশিংটনভিত্তিক বিশ্লেষকরা বলেন, এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রী উইলবুর রোজ, ব্যবসা বিষয়ক প্রশাসনিক কর্মকর্তা লিন্দা ম্যাকমোহন, শিক্ষা মন্ত্রী বেতসি দেভোস, রাজস্ব মন্ত্রী স্টেভেন ম্যানুচিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনে লাভের পরিমাণ হবে ৪.৫ মিলিয়ন।
কর নৈতিকতা বিষয়ক যোগাযোগ পরিচালক টিজে হেলমসিটার বলেন, ‘এটি কোন কর সংষ্কার নয়, এটি ধনীদের আরো ধনী করার পরিকল্পনা।’ এই কর সংস্কারে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কর ৩৫ ভাগ থেকে ২১ ভাগ করা হয়েছে। ব্যক্তি পর্যায়ে যাদের আয় ২৫ হাজার ডলারের কম তাদের গড় কর কর্তন হবে ৬০ ডলার। যাদের আয় ৪৯ হাজার থেকে ৮৬ হাজার ডলারের মধ্যে তারা কর ছাড় পাবেন প্রায় ৯০০ ডলার। যাদের আয় ৭ লাখ ৩৩ হাজার ডলারের বেশি তারা ৫১ হাজার ডলার কর মওকুফ পাবেন। তবে ৫ শতাংশ পরিবারের করের হার বৃদ্ধি পাবে।
রিপাবলিকানরা বলছেন, ‘এর ফলে দেশে ব্যবসার প্রসার ঘটবে এবং বিনিয়োগ বাড়বে।’ ডোমোক্রেটরা বলছেন, ‘এর ফলে আসল লাভটা হবে ধনীদের, মধ্যবিত্তের ওপর করবোঝা বাড়বে ও স্বাস্থ্যখাতে বিরুপ প্রভাব পড়বে। যদিও হোয়াইট হাউস আপাতত কর সংস্কার আনন্দে এই বিষয়গুলোকে আমলে নিচ্ছে না। সিনেটের অনুমোদন পাওয়ার পর বুধবার আবার প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি যাবে। এখানে বিলটি পাস হলে প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের পর তা আইনে পরিণত হবে। দ্য গার্ডিয়ান। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি
আপনার মতামত লিখুন :