তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাশ দাফনের ৩৮ দিন পর ময়না তদন্তের জন্যে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে নাছরিন আক্তার নামে এক গৃহবধুর। তাকে হত্যা করা হয়েছে এই অভিযোগে মামলা হলে বুধবার আদালতের নির্দেশে সদর উপজেলার সাদেকপুর কবরস্থান থেকে নাছরিন আক্তারের লাশ উত্তোলন করা হয়।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল করিম, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) সোহেল রানা, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ও মামলার বাদী হাজী মোঃ ইব্রাহিম মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ৪ঠা ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে নাছরিন আক্তারকে যৌতুকের জন্যে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন তার পিতা হাজী মোঃ ইব্রাহিম মিয়া। এতে নাছরিনের স্বামী মোঃ তোফাজ্জল হক (৩৫) সহ ৭ জনকে আসামী করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয় পূর্বে দাবী কৃত ৫ লাখ টাকার জন্যে ১২ নভেম্বর রাতে নাছরিনকে মারধোর করতে শুরু করে আসামীরা। খবর পেয়ে নাছরিনের পরিবারের সদস্যরা সেখানে গেলে তাদের সামনেই মারধোর করা হয় নাছরিনকে। এক পর্যায়ে নাছরিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এরপর আসামীরা রাতেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
পরে ইব্রাহিম মিয়া তার মেয়ের লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন। সকালে নাছরিনের স্বামীর পরিবারের লোকজন এসে নাছরিনের ৫ বছর বয়সী সন্তানের কথা বলে এবং নানা ছলচাতুরী করে লাশ তাদের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই দ্রুত দাফন করে ফেলে। ২০০৯ সালের ১০ই জানুয়ারী সাদেকপুর ইউনিয়নের আবদুল আউয়ালের ছেলে তোফাজ্জলের সঙ্গে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী রাজাখা গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে নাছরিনের। তাদের ৫ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল করিম জানান, লাশ দাফনের সময় ময়না তদন্ত হয় নি। তাই আদালতে মামলার বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :