নাফরুল হাসান : মিয়ানমারের সঙ্গে সবশেষ সমঝোতা অনুসারে নিজ দেশে ফেরার কথা কেবল নতুন আসা রোহিঙ্গাদের। এতে প্রায় সাড়ে চার লাখ পুরনো রোহিঙ্গা দীর্ঘমেয়াদী বাংলাদেশের বোঝা হয়ে থাকবে কি না, সেই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের উচিত দৃঢ় অবস্থানে থেকে সবাইকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে চাপ অব্যাহত রাখা।
বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। এর মধ্যে গেল সাড়ে ৩ মাসেই এসেছে প্রায় ৬ লাখ ৫৫ হাজার। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া পুরনো রোহিঙ্গা আছে আরো সাড়ে ৪ লাখের মতো। গেল মাসে মিয়ানমারের সঙ্গে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে যারা বাংলাদেশে এসেছে কেবল তাদেরই ফেরত নেবে দেশটি। ফলে অনেকটাই ঝুলে গেছে পুরনো রোহিঙ্গাদের ভাগ্য। যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে স্থানীয় ও পুরনো রোহিঙ্গাদের মাঝে।
শুধুমাত্র নতুন রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার কার্যক্রম বাংলাদেশকে আরও দীর্ঘমেয়াদী সংকটে ফেলবে জানিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম পরিষদের এ নেতা মনে করেন, নতুনদের পাশাপাশি পুরনোদের ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে অনড় থাকতে হবে বাংলাদেশকে।
তবে নতুন পুরনো সব রোহিঙ্গাকেই নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ‘এ সম্পর্কে উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান বলেন, এতাগুলো রোহিঙ্গা আমাদের দেশে রাখা কঠিন। তাই আমরা চাই তারার তাদের নজে দেশে ফিরে যাক।’
১৯৯২ সালের চুক্তি অনুসারে বেশ কয়েক বছর ধরে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম চললেও ২০০২ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। তাই এবারও প্রত্যাবাসন শুরু হলে যেন মাঝপথে তা থেমে না যায় সে ব্যাপারে বাংলাদেশকে সতর্ক থাকার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
সূত্র : সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :