নূহ-উল-আলম লেনিন : মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে রোহিঙ্গাদের নিয়ে সমঝোতা সাক্ষরমূলক একটি চুক্তি হয়েছিল, যেটা নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের চুক্তি অনুযায়ী ফিরিয়ে নিবে, এখন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী এসেছেন, এই বিষয়ে কথা বলার জন্য। তিনি আমাদের দেশের প্রশংসা করেছেন। একই সাথে মিয়ানমার যেন রোহিঙ্গাদের সম্মানজনকভাবে ফিরিয়ে নেয়, সে ব্যাপারে সকল সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীসহ অন্য যারা আমাদের দেশে এসেছেন, তাদের সবারই উদ্দেশ্য রোহিঙ্গা বিষয়ে সাহায্য করা। এখন পর্যন্ত যারা এসেছেন, তারা সবাই প্রধানমন্ত্রীর ও বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের থাকতে দিয়েছেন। তাদের সকল সমস্যা দেখছেন। এখন বিভিন্ন দেশ থেকে যারা রোহিঙ্গাদের দেখতে আসে, সেটা শুধু দেখতে আসা নয়, এটা একটি বিশ্ব জনমত। এটা আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের পক্ষে থাকার একটি দিক। এটা সত্য যে, রোহিঙ্গা আসা এখনো বন্ধ হয়নি। মিয়ানামারে তাদের উপর নির্যাতনও বন্ধ হয়নি। এখন তারা যে আসছে, আমরা তো ফেলে দিতে পারি না। আমাদের মানবিক দিক আছে, তাদের না থাকতে পারে। তবে তাই এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতা দরকার। কূটনীতিকরা এই বিষয়গুলো নিয়ে বেশি কথা বলা দরকার। জাতিসংঘের জোরালোভাবে মিয়ানমারকে চাপ সৃষ্টি করা দরকার। তারা আসবে আর আমরা জায়গা দিব, এটা কিন্তু স্থায়ী সমাধান নয়। তাই এই বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের একটি উপযুক্ত সমাধান দেওয়া উচিত।
পরিচিতি : সাবেক সভাপতি ম-লির সদস্য, আওয়ামী লীগ
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :