হামিম আহসান: রাজধানীতে দিন দিন বেড়ে চলছে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য। চলতি বছরে রাজধানীতে শুধুমাত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলাই হয়েছে শতাধিক। ঢাকা মহানগর পুলিশের ৮টি অপরাধ বিভাগে দেড় শতাধিক স্পটে ৮-১০টি গ্রুপে ভাগ হয়ে দেড় শতাধিক স্পটে রাজত্ব চলাচ্ছে ছিনতাইকারীরা।
১৮ ডিসেম্বর ভোরে বড় সন্তানের চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর থেকে ঢাকায় আসেন আকলিমা বেগম। রিক্সায় যাওয়ার পথে দয়াগঞ্জ মোড়ে ছিনতাইকারীর হামলায় রাস্তায় পড়ে নিহত হয় তার ৬ মাসের শিশু আরাফাত।
প্রায় দুই মাস আগে দয়াগঞ্জ থেকেই কয়েক কিলোমিটার দূরে টিকাটুলীতে ছিনতাইকারীর ছুরির আঘাতে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আবু তালহা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগে কমপক্ষে ১৫টি স্পটে ছিনতাই করছে সুরুজ ব্যাপারী গ্রুপ। লালবাগ বিভাগের ৮টি স্পটে ছিনতাই সক্রিয় সবুজ গ্রুপ। মতিঝিল বিভাগের ১০টি স্পটে ছিনতাই করে মকবুল গ্রুপ। রমনা বিভাগের ১৫টি স্পটে ছিনতাইয়ে সক্রিয় ইলিয়াস গ্রুপ। তেজগাঁও বিভাগে ১৫টি স্পটে ছিনতাই করে আলিম গ্রুপ। মিরপুর বিভাগের ১২টি স্পটে ছিনতাইয়ে সক্রিয় বাদল গ্রুপ। গুলশান বিভাগের কমপক্ষে ১০টি স্পটে ছিনতাইয়ে সক্রিয় কাশেম গ্রুপ। উত্তরা বিভাগের ১৫টি স্পটে ছিনতাই করে সাগর গ্রুপ।
গ্রেপ্তারের কিছুদিনের মধ্যেই জামিনে বের হয়ে আবারও ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ে ছিনতাইকারীরা। ফলে ছিনতাই প্রতিরোধে কার্যকর কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানায় গোয়েন্দা পুলিশ।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলেন, জঙ্গি নির্মূলেই বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে পুলিশ। এর ফলে মাঠের শূন্যতাকে কাজে লাগাচ্ছে ছিনতাইকারীরা।
ছিনতাইয়ের শিকার নাগরিকরা অনেকেই হয়রানির আশংকায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নাগরিকদের যেমন এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে তেমনি এগিয়ে আসতে হবে পুলিশকেও।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টিভি
আপনার মতামত লিখুন :