আশিস গুপ্ত ,নয়াদিল্লি: নতুন প্রজন্মকে দলের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য বিজেপি সাংসদদের সর্বশক্তি নিয়োগ করার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাট এবং হিমাচলপ্রদেশের ফল প্রকাশের পরে বুধবার সংসদ ভবনের এনেক্সিতে বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে মতামত বিনিময় করে এই আহ্বান জানান নরেন্দ্র মোদি।এদিন সভাকক্ষে পৌঁছাতেই তাঁকে উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানান বিজেপি সাংসদরা। আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৮৪ সালে মাত্র দু’টি আসন ছিল বিজেপি’র। এখন সেই দলই ১৯ রাজ্য শাসন করছে।
সাংসদদের সেই কথাই মনে করিয়ে দিয়ে মোদি বলেন, ‘এটা বিরাট বড়ো জয়; আমরা এখন ১৯ রাজ্য শাসন করছি। এমনকী ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় ১৮ রাজ্যে ছিল কংগ্রেস সরকার।’ তবে দলীয় কর্মী–সমর্থকরা যেন আত্মতুষ্টিতে না ভোগে। কারণ, ২০১৯ সালে সাধারণ নির্বাচন এবং তার আগে বেশ কিছু রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন ,"রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রতিটি মঞ্চে যুব প্রজন্মকে সামনের সারিতে নিয়ে আসতে হবে।মনে রাখতে হবে এই শতকের গোঁড়ায় যারা জন্মগ্রহণ করেছেন ,আগামী বছর তারা ১৮-য় পা দেবে। ভোটাধিকার পাবে। এই নতুন প্রজন্মকে দেশ,সমাজ ও উন্নয়নের কাজে শামিল করতে হবে।"
সোমবার গুজরাট এবং হিমাচলপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। আগের থেকে খারাপ ফল করলেও গুজরাট ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছে বিজেপি। আর কংগ্রেসেরে থেকে হিমাচলপ্রদেশ ছিনিয়ে নিতে পেরেছে তারা। আর তার সঙ্গে সঙ্গে ১৯ রাজ্যে ক্ষমতাসীন হয়েছে বিজেপি। যার মধ্যে পাঁচ রাজ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায়। গুজরাটে ৮০ আসন পাওয়ার পরেই কংগ্রেস দাবি করেছে তাদের ‘নৈতিক জয়’ হয়েছে।
বিজেপি’র বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের দাবীকে হাস্যকর বলে জানিয়েছেন। পরাজয়কে এইভাবে জয় দেখানো হাস্যকর বলে বৈঠকে জানিয়েছেন মোদি।প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ,"দলের বিশ্বাসযোগ্যতা, গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধীদের উক্তি এবং নিচু স্তরের মন্তব্যে বিভ্রান্ত হবেন না।আগামী দিনে বেশ কয়েকটি রাজ্যে এবং লোকসভার নির্বাচন আছে। সাধারণ মানুষের সমর্থন নিয়ে বুথ পর্যায়ের কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে জয় নিশ্চিত করতে হবে।"
আপনার মতামত লিখুন :