কামরুল আহসান : জীবনে জটিল সময়ে রোজনামচা লিখলে মানসিক ও শারীরিকভাবে কীভাবে ভালো থাকা যায় এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। কিন্তু, সম্প্রতি জার্নাল সাইকোমেটিক মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা যায়, এর কিছু পরস্পরবিরোধী প্রভাবও আছে। প্রতিদিনের দিনলিপি আপনার হার্টকে ভালো রাখবে, আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন, কিন্তু, স্মৃতিকথা খুব আবেগকাতুর করে ফেলবে।
কয়েক মাস আগে বিবাহ-বিচ্ছেদ হওয়া ১০৯ জন নারী-পুরুষের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে রোজনামচা তাদের আবেগী মনের ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলেছে। দলটিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। একদল নিজেদের আবেগী অংশগুলো বাদ দিয়ে শুধু ঘটনাগুলো লিখেছে, আরেক দল ঘটনা বাদ দিয়ে শুধু নিজেদের আবেগ-অনুভূতিগুলোই ব্যক্ত করেছে, আরেক দল এমনভাবে নিজেদের গল্পগুলো লিখেছে যেন অন্যদের গল্প লিখছে, এটা তারা করেছে নিজেদের আবেগ এড়াতে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়, প্রথম দলের তুলনায় দ্বিতীয় দুটো দলের নারী-পুরুষেরাই অধিক হৃদযন্ত্রের দুর্বলতায় বেশি ভুগছে। তাদের হার্টবিট স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম বা বেশি।
টেক্সাস-অস্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল দেখিয়েছেন, বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর নারী-পুরুষ উভয়ই চায় তাদের একান্ত কথাগুলো কাউকে বলতে, সেরকম নির্ভরযোগ্য কাউকে না পেলে তারা তা ব্যক্তিগত দিনলিপিতে লিখে রাখে, কিন্তু, নিজেদের আবেগ-অনুভূতি ঠিকঠাক মতো সামলাতে না পারলে অনেক সময় তা হিতে-বিপরীত হয়ে যায়। এ জন্য তারা পরামর্শ দিয়েছেন, যতোখানি সম্ভব নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে নিরপেক্ষভাবে সব বিচার-বিশ্লেষণ করে লিখতে। খুব বেশি আবেগকাতুরে না হতে অথবা আবেগ এড়িয়ে কোনো গল্প না ফাঁদতে। দ্য ভার্জ
আপনার মতামত লিখুন :