শিরোনাম
◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ নির্বাচনের মাঝেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০১:৩৮ রাত
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০১:৩৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গুজরাতে ভোটের ফল খতিয়ে দেখছে কংগ্রেস

আবু সাইদ: ভারতের গুজরাটে ভোটের ফলে চাঙ্গা কংগ্রেস চিন্তন শিবির বসিয়ে বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া শুরু করে দিল। তিনদিনের এই আত্মসমীক্ষা শিবিরে রাজ্যের জেলা ধরে ধরে দলের পারফরম্যান্স আলোচনা হবে। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে কী রোডম্যাপ হবে দলের, কথা হবে সে ব্যাপারেও। গুজরাত কংগ্রেস সভাপতি ভারতসিন সোলাঙ্কি এ কথা জানিয়েছেন।

এবার কংগ্রেস ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও গতবারের ৬১ থেকে তাদের আসন বেড়ে হয়েছে ৭৭। কংগ্রেসের শরিক ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি দুটি আসন পেয়েছে। তাদের সমর্থনে জিতেছেন নির্দল দলিত নেতা জিগনেশ মেবানি। সব মিলিয়ে ১৮২ সদস্যের গুজরাত বিধানসভায় কংগ্রেস জোটের আসন ৮০টি, সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ১২টি কম। গ্রামীণ গুজরাতে ভাল ফল করেছে কংগ্রেস। ৯৯টি আসন পেয়ে ফের সরকার গড়ছে বিজেপি। তাদের আসন আগে ছিল ১১৫টি।

মেহসানার এক রিসর্টে চিন্তন শিবির চলছে কংগ্রেসের। শুক্রবার তৃতীয় ও শেষদিন শিবির আমদাবাদে উঠে আসবে বলে জানান সোলাঙ্কি। সেদিন শিবিরে থাকবেন, দলীয় কর্মীদের সামনে ভাষণও দেবেন রাহুল গান্ধী। সোলাঙ্কি জানান, দলের ফল আলোচনার পাশাপাশি আগামী লোকসভা ভোট মাথায় রেখে কংগ্রেস সংগঠন চাঙ্গা করা, জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য রোডম্যাপ ঠিক করতেই শিবির হচ্ছে।

কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক ও গুজরাত ভোটে দলের ইন-চার্জ অশোক গেহলত দলের ফলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁর অভিমত, আসন ও প্রচার, দুই মাপকাঠিতেই কংগ্রেস দারুণ ফল করেছে। সরকার গড়তে না পারলেও আমরা এই বার্তা দিতে পেরেছি যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের নিজের রাজ্যে কংগ্রেস বিজেপির কালঘাম ছুটিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি চিন্তন শিবিরে যোগ দেওয়া নেতাটি বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নামিয়ে বিজেপি যেভাবে প্রচার চালিয়েছে, খোদ প্রধানমন্ত্রী নিজে আবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে প্রচার করেছেন, ওরা ভোটে যেভাবে সরকারি প্রচারযন্ত্রের অপব্যবহার করেছে, সর্বোপরি নির্বাচন কমিশন যেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার মধ্যেই আমরা চমত্কার ফল করেছি।

কচ্ছের মান্ডবি থেকে পরাজিত দলের বড় নেতা শক্তিসিন গোহিল বলেন, সামান্য ব্যবধানে হারা ১৬টি আসনে জিতে গেলে আমরাই সরকার গড়তাম। ১৯৮৫ সালে গুজরাতে সরকার গড়ার পর এক সময় কংগ্রেসের শক্তি কমে ৩২-এ ঠেকেছিল। এবার মানুষ বিপুল সমর্থন করেছেন কংগ্রেসকে, আমাদের আসন বেড়েছে। ১৯৯০-এর পর এই প্রথম বিজেপির আসন দুই অঙ্কের ঘরে নেমেছে।সূত্র: দি হিন্দু।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়