হোসাইন : আগামী বছরের জন্য বিনামূল্যের পাঠ্যবই হিসেবে ছাপা হওয়া মাদ্রাসার দাখিল স্তরের নবম-দশম শ্রেণির আল হাদিস বইয়ের ৫৩ নম্বর পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, ‘একদা এক ব্যক্তি হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি কি আমার মায়ের কাছে প্রবেশ করতে অনুমতি প্রার্থনা করব? তিনি বললেন হ্যাঁ। তখন লোকটি বলল, আমি তো তার খাদেম। হজরত রসুলুল্লাহ বললেন, তুমি তার কাছে অনুমতি চাও। তুমি তোমার মাকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পছন্দ করো?’ এ ধরনের অযৌক্তিক, ইসলাম অবমাননাকর, ব্যঙ্গাত্মক ও রসাত্মক মনগড়া উক্তি করা হয়েছে মাদ্রাসার সপ্তম, অষ্টম, নবম এবং দশম শ্রেণির চারটি পাঠ্যবইয়ের অন্তত ১০টি জায়গায়। বইগুলো হচ্ছে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির আকায়েদ ওয়াল ফিক্হ, নবম ও দশম শ্রেণির কুরআন মজিদ ও তাজভিদ এবং আল হাদিস। বিনামূল্যের এসব বই আগামী জানুয়ারি (২০১৮ সাল) থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়ার কথা। তার আগেই মাদ্রাসার পাঠ্যবইয়ে ধরা পড়ল এ ধরনের অশ্লীলতা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের পাঠ্যবই নিয়ে সরকার বিব্রত হয়েছিল। এবার ২০১৮ সালের পাঠ্যবই নিয়ে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুনতাসীর মামুন এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করে ভোরের কাগজকে বলেন, পাঠ্যবইয়ে যদি এসব লেখা ছাপা হয় তাহলে সহজেই অনুমেয় যে মাদ্রাসায় কি তৈরি হতে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এই চার শ্রেণির চার বিষয়ের ২৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭৭৬ কপি পাঠ্যবই দেশের সব উপজেলায় পাঠানোও হয়েছিল। পরে সংশ্লিষ্টদের নজরে আসায় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পাঠ্যবইগুলো দেশের সব জায়গা থেকে ফিরিয়ে এনে নতুন করে ছাপার কাজ শুরু করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। একবার ছাপাতে সরকারের খরচ হয়েছে ১৩ কোটি ৪০ লাখ ৯৪ হাজার ২০২ টাকা। আর দেশের সব জেলা ও উপজেলা থেকে মাদ্রাসার এই চারটি পাঠ্যবই ফেরত আনতে খরচ হচ্ছে আরো ৮০ লাখ টাকা। সবমিলিয়ে ১৪ কোটি ২০ লাখ ৯৪ হাজার ২০২ টাকা সরকারের রাজস্ব খাত থেকে গচ্চা গেছে। এটি দেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকা। এখন আবার নতুন করে ছাপাতে আরো প্রায় ১৫ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে।
একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে মনগড়া বিষয় প্রকাশ করে এই চার শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ইসলামের অবমাননা করা হয়েছে। সরকারবিরোধী ও রাজাকার মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিরা সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে বইগুলো লিখে শিশু-কিশোর বয়সী শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল। এই বইগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে গেলে মাদ্রাসাগুলোতে তীব্র প্রতিক্রিয়া হতো এবং শেষপর্যন্ত এই প্রতিক্রিয়া গিয়ে পড়ত সরকারের ওপর। মাদ্রাসাস্তরের পাঠ্যবই নিয়ে এমন বালখিল্যতার জন্য সরকারের রাজস্ব খাত থেকে একবার ১৪ কোটি ২০ লাখ ৯৪ হাজার ২০২ টাকা গচ্চা গেছে। নতুন করে আরো ১৫ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। যে শিক্ষকরা মাদ্রাসার এই বইগুলো রচনা কিংবা সম্পাদনা করার পর মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের যারা অনুমোদন দিয়েছেন তারা কি এই গচ্চা যাওয়া টাকার দায়িত্ব নেবেন? এমন প্রশ্নের উত্তর অবশ্য কেউ দিতে পারেননি।
সংশ্লিষ্টরা এও বলেছেন, মাদ্রাসাগুলোতে যাতে পাঠ্যবই নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা না ঘটে সেজন্য গত নভেম্বরেই বইগুলো দেশের বিভিন্ন উপজেলায় পাঠিয়ে দেয় এনসিটিবি। উপজেলাগুলোতে গুদাম না থাকায় পাঠ্যবইগুলো মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তারা। সেখানেই বিষয়টি ধরা পড়ে বলে জানান এনসিটিবি কর্মকর্তারা। এরফলে আগেভাগে পাঠ্যবই পাঠিয়েও সরকারের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। বরং মাদ্রাসা বোর্ডের কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে সরকার বিব্রত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে।
এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ বলছে, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড ইবতেদায়ি থেকে দাখিল স্তরের পাঠ্যবইয়ের অনুমোদন দেয়। এনসিটিবি শুধু পাঠ্যবই ছাপিয়ে দেয়। বইয়ের এই তেলেসমাতি কাণ্ডের জন্য এনসিটিবির কোনো দায় নেই। এর বিপরীতে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বলছে, তাদের পাঠ্যবইয়ে কোনো ভুল বা অন্যায় কিছু লেখা হয়নি। এই চাপানউতোরের মধ্যে মাদ্রাসার চার শ্রেণির চার পাঠ্যবই নতুন করে ছাপতে চলেছে এনসিটিবি। এতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ১ জানুয়ারি বইগুলো শিক্ষার্থীরা হাতে পাবে না।
জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগ থেকে একটি চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, মাদ্রাসার সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির চার পাঠ্যবই সংশোধন করে দিতে হবে। আমরা এখন সেই কাজটিই করছি। এর বেশি কিছু জানি না। আগে ছাপা হওয়া বইগুলোর অবস্থা কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদ্রাসার দাখিল স্তরের প্রায় ২৪ লাখ পাঠ্যবই এখন জেলা ও উপজেলা থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এর জায়গায় নতুন ছাপা হওয়া পাঠ্যবই যাবে। এর বেশি কিছু জানতে হলে তিনি মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। কারণ ইবতেদায়ি থেকে দাখিল স্তরের পাঠ্যবই মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে রচনা হয় এবং সেখান থেকেই অনুমোদিত হয়ে আসে।
মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান একেএম ছায়েফ উল্যাহ বলেন, মাদ্রাসার পাঠ্যবইয়ে ভুল বলতে কোনো বিষয় নেই। যে ভুলগুলো ছিল তা আরো আগেই দাফন হয়ে গেছে। কিন্তু আগামী শিক্ষাবর্ষের মাদ্রাসার পাঠ্যবইয়ে ছাপা হওয়া নোংরা লেখাগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। সচিব স্যার জানেন। মাদ্রাসা বোর্ডের গাফিলতির কারণে সরকারের রাজস্ব খাতের টাকাও গচ্চা গেছে, এর দায় নেবে কে নেবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর বলেন, মাদ্রাসার পাঠ্যবইয়ের বিতর্কিত বিষয়গুলোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চিঠি আসে। চিঠিতে বলা হয়, পাঠ্যবইগুলো সংশোধন করে দিতে। মূলত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ পাওয়ার পর আমরা এখন মাদ্রাসার চারটি পাঠ্যবই নতুন করে ছাপাচ্ছি। এরজন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা অ্যাকশনে যাব।
জানা গেছে, মাদ্রাসার এই চার শ্রেণির চার পাঠ্যবইয়ে নোংরা লেখাগুলো সবার আগে ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজালের দৃষ্টিতে আসে। এরপরই তিনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানান এবং ভুল সংশোধনের উদ্যোগ নিতে বলেন। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের এমন চিঠি উড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান একেএম ছায়েফ উল্যাহ ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে পাল্টা চিঠি দিয়ে বলেন, মাদ্রাসার পাঠ্যবইয়ে কোনো ভুল নেই। জানতে চাইলে ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজালের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আর এ বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক একেএম ছায়েফ উল্যাহ কোনো কথা বলতে চাননি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদ্রাসা স্তরের নবম-দশম শ্রেণির আল হাদিস বইয়ের ১৭৯ নম্বর পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছে, ‘আক্কেলপুর গ্রামে কাজী ও শেখ বংশের লোকদের মধ্যে দীর্ঘ কলহের পর গতকাল মারামারি হলো।’ এ বিষয়ে এনসিটিবির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, এই লাইনে ‘শেখ বংশ’ বলতে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে বোঝানো হয়েছে। মাদ্রাসাবোর্ডের লেখকরা ইচ্ছে করে ‘আল হাদিস’ বইয়ে স্পর্শকাতর এই লাইনটি রচনা করেছেন। একইভাবে বইয়ের ৩২৮ নম্বর পৃষ্ঠায়, ‘প্রথমত মদকে একটি নেয়ামত ও আকর্ষণীয় পানীয় হিসেবে পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে।’ এনসিটিবির কর্মকর্তারা বলেছেন, মদ যেখানে ইসলামে ‘হারাম’ সেখানে মাদ্রাসার পাঠ্যবইয়ে মদের এই গুণগান সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
দাখিলের নবম-দশম শ্রেণির কুরআন মজিদ ও তাজভিদ বইয়ের ১৭৮তম পৃষ্ঠায় ২৮তম পাঠ/রুকুতে ‘আলোচ্য আয়াতের বাহ্যিক অর্থদ্বারা বুঝা যায়, যেভাবে ইচ্ছা এবং যে কোনো রাস্তা দিয়ে স্ত্রী সহবাস করা যায়।’ একই বইয়ের ৪২৪ নম্বর পৃষ্ঠায় নেতার শর্তাবলিতে উল্লেখ করা হয়েছে ‘একজন নেতা হওয়ার অন্যতম যোগ্যতা পুরুষ হওয়া। কোনো মহিলা ইসলামি সমাজ বা রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দিতে পারবে না।’ পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, এই লাইনের মাধ্যমে মাদ্রাসা বোর্ড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকেই অস্বীকার করেছে। হেফাজতে ইসলামসহ বেশ কিছু ইসলামি দল দেশে নারী নেতৃত্ব চলবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল। মাদ্রাসা বোর্ড তাদের পাঠ্যবইয়ে এই লাইন রচনার মাধ্যমে সেই বিষয়টিই বাস্তবায়ন করেছে।
দাখিল স্তরের অষ্টম শ্রেণির আল আকায়েদ ওয়াল ফিক্হ বইয়ের ২৩ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে, সর্বময় ক্ষমতা তথা আইন, বিধান, রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, শাসন চলবে আল্লাহতায়ালার নামে; অন্য কারো নয়।’ এই লাইনের মাধ্যমে মাদ্রাসা বোর্ড সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকেই অস্বীকার করে বসেছে বলে মন্তব্য করেছেন পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সংশ্লিষ্টরা। একই বইয়ের ৬৬ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে ‘আল কুরআন মুসলমানদের সংবিধান’। বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এবং এর একটি সংবিধান রয়েছে। তাহলে দেশের সংবিধানের কি হবে- মাদ্রাসা বোর্ডের প্রতি এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন এনসিটিবি কর্মকর্তারা।
দাখিল স্তরের সপ্তম শ্রেণির আল আকায়েদ ওয়াল ফিক্হ বইয়ের ৭৭ নম্বর পৃষ্ঠার নবম লাইনে লেখা হয়েছে ‘হাছিনা বেগম’ এবং ১৪ ও ১৫তম লাইনে লেখা হয়েছে ‘হাছিনা বেগমের’। পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, পাঠ্যবই কিংবা প্রশ্নপত্রে স্পর্শকাতর নাম যেখানে এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেখানে মাদ্রাসা বোর্ড পাঠ্যবইয়ে এই স্পর্শকাতর নাম লিখে কি করে? তাদের মতে, মাদ্রাসা বোর্ড ইচ্ছে করে দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম বিকৃত করে পাঠ্যবইয়ে ছাপানোর জন্য অনুমোদন দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিটিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম ছায়েফ উল্যাহ একসময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের প্রটোকল অফিসার ছিলেন। সেখান থেকে তদবিরের মাধ্যমে মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদটি বাগিয়ে নেন। নানা অপকর্মের খবর জানার পর সাবেক শিক্ষা সচিব এনআই খান ছায়েফ উল্যাহর অধ্যাপক পদে পদোন্নতি আটকে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ছায়েফ উল্যাহ সম্পূর্ণ তদবিরের মাধ্যমে অধ্যাপক পদের পদোন্নতি সমেত মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদটি করায়ত্ব করেন। ভুল লোকের পদায়ন হওয়ায় মাদ্রাসা বোর্ডের পাঠ্যবইয়ে আজ ইসলাম অবমাননাকর লেখা ছাপা হয়। যে লেখায় সরকার বিব্রত হয়ে পাঠ্যবইগুলো ফিরিয়ে আনে এবং নতুন করে ছাপতে দেয়। মাদ্রাসার পাঠ্যবইয়ে গর্হীত এই অপরাধের জন্য ছায়েফ উল্যাহকে শাস্তির আওতায় আনা জরুরি হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে নীরব দর্শকের ভূমিকায় নেমেছে। ভাবখানা এমন যেন, কিছুই হয়নি, কিছুই ঘটেনি। অথচ এই ঘটনায় সরকার বিব্রত হওয়াসহ ১৪ কোটি টাকা গচ্চা গেল। তার দায় এখন কেউ নিচ্ছে না।ভোরের কাগজ।