শিরোনাম
◈ তীব্র গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি 

প্রকাশিত : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৭:০১ সকাল
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৭:০১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের পর নীরব থাকা যাবে না

উম্মুল ওয়ারা সুইটি : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে গঠিত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির খবর। তবে কূটনৈতিক তৎপরতা থামানো যাবে না। কারণ এর আগেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার এ ধরনের চুক্তি করেছে, যা বাস্তবে কোনো কাজে আসেনি। তাই এবার স্থায়ী ও রোহিঙ্গাদের রাখাইনে নিরাপদ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক বিশ্বকে সঙ্গে রাখতে হবে।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সরকারকে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, এই গ্রুপ গঠন যেন সময়ক্ষেপনের অস্ত্র না হয়। মিয়ানমারের মধ্যে যৌথভাবে রোহিঙ্গা যাচাই বাছাইয়ের পাশাপাশি এই ইস্যুতে বিশ্বকে বাংলাদেশের সমর্থনে রাখতে হবে। চুক্তিতে যেসব টার্ম অ্যান্ড রেফারেন্স রয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ মিয়ানমার এর আগেও আন্তর্জাতিকচাপে রোহিঙ্গা ইস্যুতে এ ধরনের চুক্তি করেছিল। কিন্তু যখনই আন্তর্জাতিক চাপ শিথিল হয়েছে, তখন চুক্তিও ভেস্তে গেছে। মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) অনুপ কুমার চাকমা বলেন, যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ হয়েছে এটা অবশ্যই ইতিবাচক। এখন খেয়াল রাখতে হবে টার্মস অ্যান্ড রেফারেন্সেস ঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কি না। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য বেশি জরুরি। অতীতেও মিয়ানমারের সঙ্গে এ ধরনের চুক্তি হয়েছিল। সেই অনুযায়ী রোহিঙ্গা ফেরত যায়নি। তাই যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের মাধ্যমে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক চাপ অব্যহত রাখতে হবে।

মিয়ানমারে বাংলাদেশের আরেক সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর (অব.) ইমদাদুল ইসলাম বলেন, কমিটি গঠনকে স্বাগত জানাই। এটা কূটনৈতিক সাফল্য। এখন আমাদের দিক থেকে চাপ থাকতে হবে যেন সব রোহিঙ্গাকেই ফেরত পাঠানো যায়। ওয়ার্কিং গ্রুপ তাদের মতো কাজ করুক। আর কূটনৈতিক তৎপরতা আরো বাড়াতে হবে। এই গ্রুপ গঠনের পর যেন প্রত্যাবাসন চাপ কমে না যায়। এখন আর নীরব কূটনীতির আশ্রয় নিলে হবে না, সরব কূটনীতি চালাতে হবে। মনে রাখতে হবে মিয়ানমার এর আগেও চুক্তি ভঙ্গ করেছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও রোহিঙ্গা গবেষক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, এখন প্রয়োজন আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রেখে দ্রুত প্রত্যাবাসন কাজ শেষ করা। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে যুক্ত করতে হবে। এই ওয়ার্কিং কমিটি যেন কালক্ষেপনের কমিটি না হয়। এটাকে কার্যকর দেখতে হলে অবশ্যই কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে এখনো পর্যন্ত কূটনৈতিকভাবে সফলই বলা যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়