মাছুম বিল্লাহ : বাংলাদেশ- মিয়ানমার গঠিত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ আগামী ২৩ জানুয়ারির মধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছে।
দুই দেশের ১৫ জন করে সদস্য নিয়ে মোট ৩০ সদস্য এই কমিটি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ ফেরত পাঠাতে কাজ করবে।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় এই কমিটি গঠন করা হয়। এ বিষয়ে আয়োজিত বৈঠকে অংশ নেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব মিন্ট থোয়ের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক। প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠকে চূড়ান্ত হয় যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি, যেখানে বাংলাদেশের থাকবেন ১৫ সদস্য এবং মিয়ানমারের ১৫ জন।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী উপস্থিত হোন যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে। তবে ওয়ার্কিং কমিটি এসব কাজ কখন কীভাবে ওয়ার্কিং কমিটি করবে সে ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট কিছু না জানিয়ে শুধু বলেন, ‘দেখা যাক।’
মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সে দেশে ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে গত ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি হয়, যেখানে উল্লেখ করা হয় রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর মূল কাজটি করার জন্য দুই দেশ মিলে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হবে। সেই অনুযায়ী গঠিত হলো এই যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি।
স্বাক্ষরিত টার্মস অব রেফারেন্সে রোহিঙ্গাদের ‘বাস্তচ্যুত মিয়ানমারের অধিবাসী’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এই কমিটি শুধুমাত্র রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নয়, তাদের রাখাইনে বসবাসের ব্যবস্থা (রিসেটেলমেন্ট) এবং মিয়ানমার সমাজে একীভূত (রিইন্টিগ্রেশন) করার প্রক্রিয়ার সঙ্গেও জড়িত থাকবে।
এ বিষয়ে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রত্যাবাসনের সব ধরনের কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করবে এই কমিটি। অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে এবং বর্তমান প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে যেকোনও ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এই কমিটিকে।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য দুই দেশ একটি ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট চুক্তি স্বাক্ষর করবে। এটি প্রস্তুত করবে এই কমিটি। কবে নাগাদ এটি চূড়ান্ত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২৩ জানুয়ারির মধ্যে ফেরত পাঠানো শুরু করতে হবে এবং এটি তার আগেই হবে বলে আশা করছি।
আপনার মতামত লিখুন :