আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ আসিম প্রতিবেশী ভারতকে আশ্বাস দিয়েছে বলেছেন যে চীন ও মালদ্বীপের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হলেও তা ভারত-মালদ্বীপের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না।
ভারত ও মালদ্বীপের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও তাদের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা অপরিবর্তিত থাকবে-এমন আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, চীনের কাছ থেকে মালদ্বীপ সহযোগিতা নিলেও তা অন্য দেশের সাথে সম্পর্ক প্রভাবিত করবে না।
দক্ষিণ এশিয়া এবং পূর্ব-এশীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরাশক্তি ভারত ও চীনের মধ্যকার উত্তেজনা সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র আকার ধারণ করেছে।
এরই প্রেক্ষাপটে অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক বলছেন ভারত মহাসাগরে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরির জন্য উভয় দেশ এই অঞ্চলে নানা ‘শক্তি প্রদর্শনের খেলা’য় নেমেছে।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন গাইয়ুমের সম্প্রতিক চীন সফর পরিস্থিতিকে আরও স্পর্শকাতর করে তুলেছে।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তিনি দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন এবং মালদ্বীপ-চীন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিসহ ১২টি চুক্তি সই করেন।
চীন ও মালদ্বীপের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্কের এই নতুন বিকাশে অনেক বিশ্লেষক বলছেন এই অঞ্চলকে কেন্দ্রে করে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে।
তবে, সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন যে, এফটিএ’র বিশদ মূল্যায়ন করা না হলেও এ ধরনের চুক্তি থেকে যে সুবিধা আসতে পারে তা বোধগম্য।
তিনি আরও বলেন যে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে আসবে এরকম যে কোনও উদ্যোগের পক্ষে থাকবে ভারত।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসিম পাবলিক সার্ভিস মিডিয়া (পিএসএম) সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে বলেন, সরকার মালদ্বীপের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিবে এবং এ ধরনের উদ্দেশ্যে সহায়তা করতে পারে এরকম প্রতিটি দেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করবে।
চীন-মালদ্বীপ এফটিএ’র ফলে উন্নয়নমূলক প্রকল্প, নতুন বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ও চাকরির সুযোগ বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মালদ্বীপ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন।
বিশেষ করে যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে একে অপরকে সহায়তা করে আসছে। দু’দেশের মধ্যে একটি টেকসই সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :