কামরুল আহসান : বিশ্বজুড়ে নারীদের একটি মারাত্মাক রোগ জরায়ুমুখ ক্যান্সার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব মতে, প্রতি বছর বাংলাদেশেই এ রোগে মারা যায় প্রায় ৬ হাজার ৫০০ নারী। জরায়মুখ ক্যান্সার নিরাময়ে এক উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন জার্মানির একদল চিকিৎসাবিজ্ঞানী। ‘স্পার্মবট’ নামে এ চিকিৎসায় তারা কেমোর সঙ্গে শুক্রাণু কোষ মিশিয়ে দেবেন।
সাধারণত কেমো ব্যবহারে রোগীর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেশি হয়, অবসাদ ও বমি ভাবে আক্রান্ত হয়, তার কার্যকারিতাও কমে। কিন্তু, কেমোর সঙ্গে শুক্রাণু ব্যবহার করে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা দেখছেন তাতে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়।
যেকোন ক্যান্সারেই প্রধানতম চিকিৎসা কেমোথেরাপি। কেমে র ঔষধ সাধারণ কোষের সঙ্গে মিশে ক্যান্সারাক্রান্ত কোষকে ধ্বংস করে। কেমো ব্যবহারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও খুব মারাত্মক। তাতে রোগী অবসাদে আক্রান্ত হয়। লিবিনিজ ইনস্টিটিউট গবেষণা করে দেখিয়েছে, জরায়ুমুখ ক্যান্সার চিকিৎসায় ডোক্সোরুবিসিন কেমো ড্রাগের সঙ্গে শুক্রাণু মিশিয়ে দিলে তিনদিনের মধ্যেই তা টিউমারে গিয়ে কাজ করতে সক্ষম হয় এবং ৮৭ শতাংশ ক্যান্সার সেলকে ধ্বংস করতে পারে। তাতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও অনেক কম হয়।
গবেষক দলের প্রধান হাইজেন জু নিউ সায়েন্টিস্ট সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, নতুন এই পদ্ধতিটির নাম তারা দিয়েছেন ‘স্পার্মবটস’, এই চিকিৎসা পদ্ধতি সাধারণ কেমোথেরাপির চেয়েও অনেক গুণ বেশি কার্যকরভাবে নারীদের প্রজনন নালীর চিকিৎসায় সুরক্ষা দিতে পারবে। নিউ ইয়র্ক পোস্ট
আপনার মতামত লিখুন :