মো. শহিদুল ইসলাম,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে পদদলিত হয়ে ৫০ জন আহত হয়। এর মধ্যে ৩০ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। গুরুতর আহত ২০ জন বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওর্য়াডে চিকিৎসাধীন রেয়েছে চমেকে।
এদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অর্পণ বিশ্বাস (২২), গার্মেন্টসকর্মী সুমন নাথ (৪৫), ফানু সাহা (৫১) বছর বয়সী একব্যাক্তি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালের আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন।
ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে, রবিন দাশ, বাসিক সিংহ, মনোজ বড়ুয়া, সুকুমার দাশ ও উজ্জ্বল চৌধুরী, বড়–য়া অপু, রামদুলাল, মো. হারুন, চিত্তরঞ্জন সিংহ, অজয় দাশ, অরুণ কান্তি দাশ, আশোক কুমার, মিন্টু দাস, সুমন, কানু ও শুভ দাস ।
প্রত্যক্ষদর্শী আহত মো. হারুন ও মিন্টু দাস বলেন, রীমা কমিউনিটি সেন্টারে গতকাল সকাল ১১টায় খাওয়া– দাওয়া শুরু হয়। দুপুরে কিছুক্ষণ খাওয়া বন্ধ ছিল। এসময় মানুষের ভিড় বেড়ে যায়। দুপুর দেড়টার দিকে গেটের বাইরে ২৩ হাজার লোক জমে যায়। মানুষের ঢল নামে।
কমিউনিটি সেন্টারের পশ্চিম গেট দিয়ে ঢোকার সময় কয়েক শ লোক হুমড়ি খেয়ে পড়ে। গেট থেকে নামার ৭–৮ ফুট ঢালু অংশে হুড়োহুড়িতে অনেক মানুষ পড়ে যায়। এতে পদদলিত হয়ে অনেকেই হতাহত হয়। তবে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী অহতরা।
প্রত্যক্ষদর্শী শুভ দাস বলেন, ‘পতেঙ্গা থেকে আমরা চারজন মেজবানির খাবার খেতে এসেছিলাম। গেট দিয়ে ঢোকার সময় হুড়োহুড়িতে অনেকেই পড়ে যায়। এসময় আমার আপন চাচা ঝন্টু দাসও পড়ে যায়। তাকে টেনে তোলার চেষ্টা করেও তুলতে পারিনি। পদদলিত হয়ে চোখের সামনেই মারা যান তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবার নগরীর রিমা কামিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানির মেজবানে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে ১০ জন নিহত হন। আহত হন আরও অনেকে।
আপনার মতামত লিখুন :