আক্তারুজ্জামান: আসন্ন ২০১৮ সালেই অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ ক্রিকেট। আর এই টুর্নামেন্ট বাংলাদেশের মাটিতে হলে শিরোপা জয়ের দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে টাইগারদের। গণমাধ্যমের কাছে এমনটাই জানিয়েছেন টাইগারদের দলনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এখনো কোন ট্রফি জিততে না পারার আক্ষেপ নেই ম্যাশের।
এশিয়া কাপের আগেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজে প্রতিপক্ষের কোচ হাথুরুসিংহে হওয়ায় দলকে আরো সতর্ক থাকার জন্য বললেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
গত এশিয়া কাপে মাশরাফির নেতৃত্বে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো ফেবাটিরদের হারিয়ে শিরোপা জয়ের খুব কাছে গিয়েছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু, ভাগ্যদেবী সহায় না থাকায় তা আর হয়ে ওঠেনি।
ভারতের মাটিতে এবারের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। আর সে কারনেই টানা চতুর্থ বারের মতো এশিয়া কাপের আয়োজক হবার সম্ভাবনা উকি দিয়েছে বাংলাদেশের দরজায়।
গত আসরে খুব কাছে যেয়েও শিরোপা ছোঁয়া হয়নি। এবার যদি বাংলাদেশ আবারো এশিয়া কাপের আয়োজক হয়। সেক্ষেত্রে ট্রফি জয়ের বন্ধ্যাত্ব ঘুচবে কিংবদন্তীর আসনে থাকা ক্যাপ্টেন ম্যাশের। তবে ট্রফি জয়ই যে এই ক্রিকেট যোদ্ধার কাছে সবকিছু না।
মাশরাফির ভাষ্যমতে, 'সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আমাদের একটা সম্ভাবনা আছে। ট্রফি আমার কাছে বড় ব্যাপার না। যতটুকু করেছি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য করেছি। আর এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় ব্যাপার।'
আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী এশিয়া কাপের বাকি এখনো ৬ মাস। কিন্তু, তার আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজ খেলবে টাইগাররা। নিজেদের মাঠে খেলা হলেও, দলের সতীর্থদের সতর্ক করলেন ম্যাশ।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'শ্রীলঙ্কার কোচ এখন হাথুরুসিংহে। তিনি আমাদের সব খেলোয়াড়ের দুর্বলতার পয়েন্ট জানেন। এইটা শ্রীলঙ্কার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে একটা সুবিধা হতে পারে। এই দিকটা মাথায় রেখে আমাদেরও মানসিকভাবে স্ট্রং হয়ে মাঠে নামতে হবে।'
সদ্য প্রস্তাবিত আইসিসি'র এফটিপিতে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের খেলা বেড়েছে দ্বিগুণ। যেটা বাংলাদেশ দলের জন্য ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাসটিক।
আইসিসির এফটিপি নিয়ে মাশরাফি বলেন, 'নতুন ট্যুরে আমাদের টেস্ট ম্যাচ অনেক বেড়েছে। ১৯-২৩ এর ভেতরে আমরা প্রায় ৩৫টি ম্যাচ খেলতে পারবো। এটা আমাদের ক্রিকেটের জন্য খুবই ভালো।'
এটা উল্লেখ্য যে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি'র বার্ষিক সভায় এফটিপি প্রস্তাবের চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে চার বছরে রেকর্ড তিন ফরম্যাটে ১২২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে।
আপনার মতামত লিখুন :