শিরোনাম
◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি

প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:১৭ সকাল
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রিজার্ভ চুরির টাকা ফেরত পেতে যৌথ মামলার প্রস্তুতির পরামর্শ সাবেক দুই গভর্নরের

হ্যাপী আক্তার: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া টাকা ফেরত পেতে কূটনৈতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক তৎপরতা বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এবং ড. আতিউর রহমান। তাদের দুজনের মতে আর সময় নষ্ট না করে অতি দ্রুত ফেডারেল রিজার্ভের সাথে যোগাযোগ করে যৌথ মামলার প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। তবে বর্তমানে প্রক্রিয়াটি ফিলিপাইনের আইন অনুযায়ী চলছে বিধায় চুরি হওয়া টাকা শিগগিরই ফেরত পাবার সম্ভাবনা অনেক কম। সূত্র: চ্যানেল টুয়েন্টিফোর

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাক করে ফেডারেল রিজার্ভের মাধ্যমে ১০১ মিলিয়ন ডলারের প্রদান আদেশ দেয় হ্যাকাররা। ফেডারেল রিজার্ভ তা গ্রহণ করে তিনটি রিটেইল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পাঠায় শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপিনে। কিন্তু ২০ মিলিয়ন ডলার শ্রীলঙ্কায় আটকে গেলেও বাকি ৮১ মিলিয়ন ডলার পাচার হয় ফিলিপিনের রিজাল ব্যাংকের মাধ্যমে চারটি নাম সর্বস্ব অ্যাকাউন্টে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩০ মিলিয়ন জমা হয় জেসি ক্রিস্টোফারের অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে ২৩ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেয়া হয় অন্যত্র। আর বাকি অর্থ ফিলরেম থেকে পেসোতে ভাঙিয়ে নেয়া হয় উইকাং জু, ইস্টার্ন হাওয়াই এবং সোলায়ার ক্যাসিনোতে।

এরপর বাংলাদেশেও শুরু হয় মানি তৎপরতা। ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকসহ অন্যান্যরাও দোষি প্রমাণিত হয় নানাভাবে। তবে টাকা ফেরত পাওয়ার বদলে মামলা গড়ায় দেশটির আদালত পর্যন্ত। যা এখন আটকে আছে কয়েক মাস ধরে। তবে ফিলিপাইনে থাকা রাষ্ট্রদূতের মতে চুরি যাওয়া টাকা ফেরত পাওয়া নির্ভর করছে সে দেশের আইনি প্রক্রিয়ার ওপরে।

ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম বলেন, ফিলিপাইনে যে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান, তাদেরকে আমরা অনুরোধ করেছি যে আমাদের যারা আছে তারা যেনো টাকা উদ্ধারের জন্য মামলা চালিয়ে নিয়ে যায়। বিভিন্ন অভিযোগ গঠন করেছে, মামলা দায়ের করেছে।সুতরাং এটা একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার, সেই সময়টি তাদের কে দিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, প্রয়োজন হলে তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা আরো আমেরিকান কোর্টে দরকার হলে করতে হবে বলে আমি মনে কির এবং সেই ভয়টা যেনো ফিলিপাইন পায় যে না এভাবে তারা পার পেয়ে যেতে পারে না।

ঘটনার পর টাকা আদায়েও বাংলাদেশের উদ্যোগ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে নানান সময়ে। এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও ভুল নির্দেশনা এবং ফেডারেল রিজার্ভ থেকে অর্থ ছাড় না করার আদেশ দেয়া হলেও তা মানেনি আরসিবিসি। তাই এখনই ফেডারেল রিজার্ভ থেকে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ না নেওয়ায় বেড়েছে দুশ্চিন্তাও। টাকা আদায়ে বাড়াতে হবে কূটনৈতিক তৎপরতা। একই সাথে আরও কঠোর ব্যবস্তা নিতে হবে আরসিবিসির বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক এবং আইনি এই চারটি মাধ্যমকে একত্রিতভাবে শক্ত কমিটি গঠন করে ফিলিপাইনে পাঠাতে হবে। তবে  এখন পর্যন্ত এই কাজটি করা হয়নি।

সজিব/

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়