শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৫:০৯ সকাল
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৫:০৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শুধু প্রশাসনিক ব্যবস্থা দিয়ে একটি আইনশৃঙ্খলা উন্নতি করা সম্ভব নয়

খালেকুজ্জামান : শাসন ব্যবস্থাসহ সমাজের সকল ক্ষেত্র থেকে জনগণকে যত দূরে ঠেলে দেওয়া হবে, দুর্বীত্তরা তত বেশি সামনে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ পাবে। জনসাধারণকে যত বেশি নিঃষ্কৃয় বা ক্ষমতাহীন করা হবে ততবেশি, অপরাধ, সংঘর্ষ, হত্যা বৃদ্ধি পাবে। শুধু প্রশাসনিক ব্যবস্থা দিয়ে একটি আইনশৃঙ্খলা উন্নতি করা সম্ভব নয়। জন সচেতনতা, জনগণের সংঘবদ্ধ অবস্থান এবং গণপ্রতিরোধ যত শক্তিশালী হবে ততবেশি অপরাধ কমে আসবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য জনউদ্যোগের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রশাসন তাদের কাজটি আর ভালোভাবে সম্পূর্ণ করতে পারে। কিন্তু একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যেখানে জনগণের ক্ষমতা অনুপস্থিত এবং একটি দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ক্ষমতায়িত হওয়ার যে উন্মোক্ত প্রতিযোগিতা রয়েছে। এই পরিস্থিতি সকল অপরাধ ও ভীবৎস কর্মকা-কে বাড়িয়ে তুলছে।

যারা জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হতে চান, তাদেরও জনগণের সামনে একটি ইমেজ তোলে ধরতে হয়। তাদের সামাজিক কর্মকা-গুলো তুলে ধরতে হয়। কিন্তু কিছু লোক আছে যারা, টাকা বা কোনো পেশি শক্তি ও ক্ষমতার মদোত্তার উপর নির্ভর করে তারা ক্ষমতায় যেতে চায়। আর তারা ক্ষমতায় গেলেই জনগণ ক্ষমতার বাহিরে চলে যায়। যার কারণের রাজনীতি দুর্বীত্তকারীদের হাতে চলে যায়। এই পক্রিয়ায় শাসন-প্রশাসন ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক, তারাও কোনো না কোনোভাবে অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। তাহলে এই অবস্থার মধ্যে যেটা আগে প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে, একটি সচেতন প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার। এখন তো প্রতিদিনই খুন খারাপি হচ্ছে, কিন্তু নির্বাচন যত কাছে আসবে তত ক্ষমতায় থাকা আর ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াইয়ে শক্তির পরীক্ষা বাড়তে থাকবে। এর ফলে দেশে একটি সহিংস কার্যকলাপ বাড়তে থাকবে।

এই অবস্থায় আমরা যারা দেশ প্রেমিক তারা মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা, সেটা আজ এই বিজয়ের মাসে স্মরণ করিয়ে, আমি বলতে চাই, কিছু দলের কাছে নিজেকে জিম্মি না করে, একটি ঐক্যবদ্ধ দল গঠন করে, দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এর জন্য এই মুহূর্তে একটি বিকল্প রাজনৈতিক দল ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এই দেশে মুক্তিযুদ্দের নামে রাজনীতি বা ব্যবসা নয়, অথবা ধর্মের নামে রাজনীতি বা ব্যবসা নয়। সত্যিকার গণতান্ত্রিক চেতনাধারী দলকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

পরিচিতি : রাজনীতিক
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়