শিরোনাম
◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫

প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:২১ সকাল
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:২১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জানুয়ারিতে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে ভোট

ডেস্ক রিপোর্ট : আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ভোট করতে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

সেই সঙ্গে সম্প্রসারিত সীমানায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নবগঠিত ৩৬টি সাধারণ ও ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদেও একই দিনে ভোট হবে।

রোববার কমিশন সভা শেষে হেলালুদ্দীন বলেন, “তিনটি তফসিল একদিনেই ঘোষণা করা হবে এবং একই দিনে ভোট হবে। নতুন ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মেয়াদ হবে সিটি করপোরেশনের মেয়াদ পর্যন্ত।”

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোট হয়। আওয়ামী লীগের সমর্থনে ওই নির্বাচনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন আনিসুল হক।

প্রায় দুই বছর ধরে ওই দায়িত্ব পালনের মধ্যেই চলতি বছর জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিসে আক্রান্ত আনিসুল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগ ১ ডিসেম্বর থেকে মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করায় আইন অনুযায়ী ৯০ দিন, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ উপ-নির্বাচন করতে হবে ইসিকে।

হেলালুদ্দীন বলেন, “যেহেতু ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে উপ-নির্বাচনে কোনো জটিলতা নেই, তাই কমিশন জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল এবং ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা থেকে পাঁচ বছর মেয়াদ থাকে শপথ নেওয়া জনপ্রতিনিধিদের। উপ নির্বাচনে মেয়র পদে নতুন যিনি আসবেন, তিনি মেয়াদের বাকি অংশটুকু দায়িত্ব পালন করবেন।

২০১৫ সালে ভোটের পর ঢাকা উত্তরের প্রথম সভা হয় ১৪ মে। সে হিসাবে উপ-নির্বাচনে নির্বাচিত মেয়র ২০২০ সালের ১৩ মে পর্যন্ত বহাল থাকবেন।

উত্তর সিটিতে যুক্ত নতুন ১৮ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর, ছয়টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত কাউন্সিলর এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও ছয়টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ভোটের জন্য তিনটি আলাদা প্রজ্ঞাপন ও তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানান হেলালুদ্দীন।

স্থানীয় সরকার বিভাগ গত ২৬ জুলাই দুই সিটি করপোরেশনে ৩৬টি ওয়ার্ড বাড়িয়ে নতুন সীমানা নির্ধারণের গেজেট জারি করে। এরপর গত ৮ আগস্ট এসব ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট করতে ইসিকে অনুরোধ জানানো হয়।

এসব ওয়ার্ডে নতুন যারা কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন, তাদের মেয়াদও হবে সিটি করপোরেশনের মেয়াদ থাকা পর্যন্ত। ঢাকা দক্ষিণ সিটির ক্ষেত্রে ২০২০ সালের ১৬ মে পর্যন্ত হবে তাদের মেয়াদ।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পুরাতন ৩৬টির সঙ্গে নতুন ১৮টি ওয়ার্ড যোগ হওয়ায় মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪টি। আর দক্ষিণ সিটির ওয়ার্ড সংখ্যা ৫৭টি থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫টি।

সূত্র : বিডিনিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়