শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:৩৩ সকাল
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বীরশ্রেষ্ঠ স্মরণে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ, এ মাসেই মুক্তি

ডেস্ক রিপোর্ট : বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরকে নিয়ে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর স্মরণে’ নির্মাণ করলেন তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রাচ্য পলাশ।

সম্প্রতি প্রায় ২৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের এ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ্যাডভান্স মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে নির্মিত এ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি গ্রন্থণা করেছেন মাহবুব হক।

নির্মাতা প্রাচ্য পলাশ জানান, পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষে চলতি ডিসেম্বরই ইউটিউব ভিত্তিক স্মার্ট চ্যানেল ‘প্রাকৃত টিভি’তে প্রামাণ্যচিত্রটি মুক্তি দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরকে ঘিরে যেসব স্থাপনা বা প্রতিষ্ঠান নির্মিত হয়েছে, সেগুলো শুধু রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক দায় মোচনের জন্য নয় এসবের পেছনে অগণিত দেশপ্রেমিক জনতার প্রবল আকুতি ও ভালোবাসা মিলিত রয়েছে। মূলত দেশপ্রেমিক জনতার সে ভালোবাসাকে সম্মান জানাতেই প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর স্মরণে’ নির্মাণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

মাহবুব হক জানান, বাংলার অদম্য সাহসী সূর্যসন্তান ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে সাত নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার হিসাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ দখলের অপারেশনে নেতৃত্বদানকালে ১৪ ডিসেম্বর ভোরে শত্রুপক্ষের গুলিতে বিদ্ধ হয়ে তিনি শহীদ হন। তাঁর এ বীরোচিত আত্মদানকে সম্মান প্রদর্শন ও উর্ধ্বে তুলে ধরতেই পুরস্কার, সম্মাননা প্রদান ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য সর্বোচ্চ সামরিক পদক ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ তাঁকে প্রদাণ করা হয়েছে। ঢাকা সেনানিবাসের প্রধান ফটকটি ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ জাহাঙ্গীর গেট’ নামকরণ করা হয়েছে। ২০০৮ সালের ২১ মে পরিবার ও স্থানীয় জনতার মতামতের ভিত্তিতে ‘আগরপুর’ ইউনিয়ন পরিষদের নাম ‘মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরনগর’ ইউনিয়ন করা হয়েছে। বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে নির্মিত হয়েছে ‘বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর’, ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর হাইস্কুল’, দোয়ারিকা ও শিকারপুরে দু’টি ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বীরশ্রেষ্ঠ সেতু, গঠিত হয়েছে ‘বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ফাউন্ডেশন’। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীতে ‘শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বীরশ্রেষ্ঠ সেতু’, স্বরূপনগরে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কলেজ’, রেহাইচরে ‘বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর স্মৃতিস্তম্ভ’, ঐতিহাসিক ছোট সোনামসজিদ প্রাঙ্গণে সমাধি ও ‘সোনামসজিদ বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর অনক ডিগ্রী কলেজ’, গোলাপের হাটে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কলেজ’, রাজশাহীতে ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর সরণী’, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরপার্কে ‘শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর মুক্তমঞ্চ’ নির্মিত হয়েছে।

এ বীরশ্রেষ্ঠর স্মরণে দেশব্যাপি সে সকল স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে তার অনেকগুলোই এ প্রামাণ্যচিত্রে তুলে আনা হয়েছে বলে নির্মাতা জানান।

সূত্র : বাসস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়