আনোয়ার হোসেন: বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সেফটি নেট কর্মসূচিতে ২৪৫ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত অনুদান দেবে। এর মাধ্যমে সেফটি নেট কর্মসূচির স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানো হবে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, বালাদেশের সরকার দরিদ্র ও দুস্থদের সহায়তা করতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য নেয়া বাস্তবায়নাধীন এ সকল (সেফটি নেট) কর্মসূচিতে বিশ্ব ব্যাংক আরো অর্থ সহায়তা করবে। এই কর্মসূচির অধীনে দেশের ৯০ লাখ দরিদ্র লোক অর্থ সহায়তা পাবে।
এই অর্থ সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশে এই প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের মোট সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াবে ৭৪৫ মিলিয়ন ডলার। এই প্রকল্প শেষ হবে ২০১৯ সালের ৩০ জুন। সুদমুক্ত এই লোন ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে। তবে মাত্র শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ কাটা হবে।
বিশ্ব ব্যাংকের এই অর্থ সহায়তা দেশের সর্ববৃহৎ কর্মসূচির কয়েকটিতে দক্ষতা বাড়ানোর সহায়ক হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ এই কর্মসূচি বাস্তায়ন করছে।
বিশ্বব্যাংকের অপারেশনস ম্যানেজার রাজশ্রী পাললকার বলেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সামাজিক সুরক্ষায় ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে, যা মোট জিডিপির প্রায় ১.৪ শতাংশ। দরিদ্র পরিবারগুলিকে সনাক্ত করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে। এবং সরকার দারিদ্র্যতা কমাতে জনসাধারণের সম্পদসমূহের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করবে।
বিশ্বব্যাংকের টাস্ক টিম লিডার আশিক আজিজ বলেন, অতিরিক্ত অর্থায়ন জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা নীতিতে পরিকল্পিত সামাজিক সুরক্ষা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।
আপনার মতামত লিখুন :